Home বাংলাদেশ শুক্রবার সন্ধ্যায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে ‘মোখা’

শুক্রবার সন্ধ্যায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে ‘মোখা’

by বাংলাপ্রেস ডেস্ক
A+A-
Reset

বাংলাপ্রেস ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় পরিণত হয়েছে।

শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যায় এটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র গতিপথ এখন পর্যন্ত ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গের দিকে থাকলেও, রোববার সকালে এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দিকে বাঁক নেবে। এদিন সকালে ঘূর্ণিঝড়টি ‘প্রবল’ এবং একই দিন সন্ধ্যায় ‘অতি প্রবল’ হবে।

এছাড়া, শনিবার (১৩ মে) ঘূর্ণিঝড়টি ‘পিক অবস্থায়’ থাকবে বলে জানান আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক। শনিবারের পর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং তখন চলমান তাপপ্রবাহ কমে আসবে বলেও জানান তিনি।

ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের চারপাশে বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। এটি ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার গতিতে স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। এই গতিতে এগোতে থাকলে রোববার (১৪ মে) সকাল থেকে দুপুর নাগাদ স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে ‘মোখা’।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এদিন সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়টি।

এদিকে, দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বিপি/কেজে

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী