বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ইউরোপের সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন সানা মারিন। ফিনল্যান্ডের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলিষ্ঠ কণ্ঠে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) তরুণ এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজনীতিকে বিদায় জানিয়েছেন। এখন তিনি লন্ডনের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে যোগ দিবেন। খবর আরব নিউজ
৩৭ বছর বয়সী মারিন ২০১৯ সালে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ-দলীয় কেন্দ্র-বাম শাসক জোটের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। দক্ষ হাতে করোনা মহামারি মোকাবিলা করায় তিনি মন্ত্রিসভায় প্রশংসা কুড়ান। এছাড়া তিনি রাশিয়ার বিপক্ষে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসেন। এছাড়া তার দেশ ৩১তম সদস্য হিসেবে ন্যাটোর অন্তর্ভূক্ত হয়েছে, যা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন।
সানা মারিন এর উদ্ধৃতি দিয়ে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, “আমার এখন অন্যত্র বিচরণ করার সময়, আমি এখন নতুন পদেক্ষপ নিতে আগ্রহী। কারণ আমি বিশ্বাস করি এ পদক্ষেপ পুরো ফিনল্যান্ডবাসীকে উপকৃত করবে”।
গত এপ্রিলে ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে ফিনল্যান্ড। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরুর পরই ইউরোপের এ দেশটি ভয়ের মধ্যে ছিল। পরে তারা ন্যাটোতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেয়।
রাজনীতিকে বিদায় জানিয়ে তিনি এখন টনি ব্লেয়ারের অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে যোগ দিবেন। এখানে তিনি বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
বিপি>আর এল