নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে মানসিক ভারসাম্যহীন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত যুবক উইন রোজারিও হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে নিউ ইয়র্ক স্টেট এটর্নি জেনারেল। পুলিশ কর্মকর্তারা এ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রকরা তেমন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ২ এপ্রিল মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক স্টেট এটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের অফিসের অফিস অব স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন বা ওএসআই এই হত্যার তদন্ত শুরু করেন।
গত সপ্তাহে ২৭ মার্চ দুপুরে উইন রোজারিও’র ফোন পেয়ে পুলিশ সাহায্য করতে তার বাড়িতে আসেন। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী দরোজা খোলার পর উইন রোজারিও কাঁচি নিয়ে দুই পুলিশের দিকে ছুটে এলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোঁড়েন। ফলে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কের ডেইলি নিউজের প্রতিবেদনে বলে হয় উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পুলিশের বডিক্যাম ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ না করায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুশ।
এদিকে, এটর্নি জেনারেলের অফিসের ১০ এপ্রিলের বিবৃতি অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একজোড়া কাচি উদ্ধার করেন। তবে পুলিশ অফিসার রোজারিওকে টেজার করেছে বলে উল্লেখ করা হয়নি। বিবৃতিতে উক্ত ঘটনায় উইন রোজারিওর মায়ের সংযুক্ত হওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়নি। তবে এনওয়াইপিডির চিফ অব পেট্রোল জন চেল বলেছেন, গুলির আগে উইনের মা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। এই সময় তরুণ আবার কাচি নিয়ে অফিসারদের দিকে তেড়ে আসে। চিফ অব পেট্রোল বলেন, এ সময় নিজেদের রক্ষার্থে গুলি করা ছাড়া গত্যন্তর ছিল না। তবে নিউ ইয়র্ক স্টেট এটর্নি জেনারেলের তদন্ত এখনও শেষ হয়নি বলে জানা গেছে।
বিপি।এসএম