নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতে তৈরি মসলায় উচ্চ মাত্রার ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কীটনাশক পাওয়ার খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয়দের পাশাপাশি শতকরা ৮০ শতাংশ বাংলাদেশি ভারতীয় মসলা ব্যবহার করে থাকেন। ভারতীয় মসলা প্রস্তুতকারক এমডিএইচ এবং এভারেস্টের পণ্য নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) মুখপাত্র জানিয়েছেন ভারতীয় মসলা প্রস্তুতকারক এমডিএইচ এবং এভারেস্টের পণ্য নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। এর আগে ভারতীয় মসলা নিয়ে হংকং ও সিঙ্গাপুরের সচেতনতামুলক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এমডিএইচ এবং এভারেস্টের মসলা ও খাদ্যপণ্য পরীক্ষার জন্য তথ্য সংগ্রহ করছে এফডিএ। ভারতীয় মসলায় উচ্চ মাত্রার ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কীটনাশক পাওয়ার অভিযোগে, হংকং ভারতের কয়েকটি পণ্যের বিক্রি বন্ধ করার পর, এমন উদ্যোগ নিলো এফডিএ।
এই মাসেই ভারতের মসলা প্রস্তুতকারক এমডিএইচের তিনটি মসলা ও এভারেস্টের মাছ রান্নার মসলার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে হংকং। সিঙ্গাপুর তাদের বাজার থেকে এভারেস্টের ওই মসলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তাদের দাবি, এই মসলায় উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড পাওয়া গেছে যা মানুষের খাওয়ার অনুপযুক্ত। দীর্ঘদিন খেলে এতে ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।
এ ঘটনার পর ভারতের খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) ওই দুটি কোম্পানির তৈরি করা খাদ্যপণ্যের মান পরীক্ষা করছে। এমডিএইচ ও এভারেস্টের মসলা ভারতের বেশ জনপ্রিয়। ইউরোপ, এশিয়াও উত্তর আমেরিকাতেও তা বিক্রি হয়।
বুধবার ভারতের মশলা রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ভারতের মশলা বোর্ড বলেছে, তারা হংকং এবং সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষের কাছে এমডিএইচ ও এভারেস্টের মসলার নমুনা চেয়েছে। তারা এই কোম্পানি দুটির পণ্যের গুণগত মান সংক্রান্ত সমস্যার মূল করণ খুঁজে বের করতে সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে।
অবশ্য যোগাযোগ করা হলে, এই ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমকে কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি এমডিএইচ ও এভারেস্ট। এর আগে ২০১৯ সালে এমডিএইচের কয়েকটি পণ্য প্রত্যাহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
বিপি।এসএম