নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহরে কৃষ্ণাঙ্গ দুর্বৃত্তের বন্দুকের গুলিতে দুই বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ফিলমোর জামে মসজিদের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি উক্ত সমাবেশে প্রকৃত অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। প্রবাসীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ঘটনাস্থল ত্যগ করেন বাফেলো সিটি মেয়র বাইরেন ডাব্লিউ ব্রাউন ও বাফেলো পুলিশ কমিশনার জোসেফ গোমালিয়া।
গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাফেলোর ইস্ট ফেরি ও জেনার স্ট্রিটের ১০০ ব্লকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবু সালেহ মোঃ ইউসুফ জনি (৫৩)ও কুমিল্লার লাঙ্গলকোর্টের বাবুল মিয়া (৫০) নামের দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে কৃষ্ণাঙ্গ দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠেছে বাফেলো শহর।
বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার অব বাফালোর সভাপতি একেএম ফাহিম, আল ইসান জামে মসজিদের সভাপতি ও বৃহত্তর কুমিল্লা সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী আবুল বাসার, বিএনপি নেতা মতিউর রহমান লিটু, বাফেলো সিটি হলের কর্মচারি নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সিরাজুল মোস্তফা (জাভেদ), বাফেলো বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ বেলাল, বরিশাল সোসাইটি অফ বাফেলোর সভাপতি সৈয়দ ঝিলু, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামান মিয়া, বায়তুল মোকাররম মসজিদের সভাপতি কবির পোদ্দার, হোম ওনার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামাল হোসেন, ডঃ ফাহিম তাজওয়া, ড: মোমিন উল্লাহ, মইনুল হোসেন, আব্দুল মান্নান তাজু, মারুফ আহাম্মেদ, ফাইজুর রহমান, জামাল উদ্দিন, বোরহান আলী ও খালেদ আলী প্রমুখ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাফেলোর হ্যাজেলউড এলাকায় বাড়ি সংস্কারের কাজ করছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাড়ি সংস্কারের কাজ করায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক এসে জনি ও বাবুলের কাছে অর্থ (চাঁদা) দাবি করে।উভয়ের মধ্যে বচসা হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে। লাশ দুটি স্থানীয় ইসিএমসি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। বাফেলোতে এই প্রথম বাংলাদেশিদের ওপর নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত প্রবাসীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন বাফেলো বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা।
বিপি।এসএম