Home বাংলাদেশ এমপি আনোয়ারুল আজীমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

এমপি আনোয়ারুল আজীমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

by bnbanglapress
A+A-
Reset

বাংলাপ্রেস ডেস্ক: এক সপ্তাহ আগে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বুধবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, “পরিকল্পিতভাবেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তিনজনকে বাংলাদেশ পুলিশ আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
“তদন্ত চলছে, যারা যারা এ খুনের সাথে জড়িত সবার বিষয়ে জানতে পারবো। ভারতের পুলিশও সহযোগিতা করছে। আমাদের পুলিশ অত্যন্ত দক্ষ। তদন্ত শেষ হলে এ খুনের মোটিভ কী, সবকিছু বিস্তারিত দিতে পারবো আমরা।”
এদিকে, কলকাতা সিআইডির আইজি অখিলেশ চতুর্বেদি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেছেন, “যে ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেই ফ্ল্যাটের মালিকের নাম সঞ্জীব রায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গের এক্সাইজ (শুল্ক) দপ্তরের কর্মকর্তা।”
কলকাতার নিউটাউন থেকে বিবিসির সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী জানাচ্ছেন, আইজি অখিলেশ চতুর্বেদি বলেছেন, “আখতারুজ্জামান নামে একজন মার্কিন নাগরিককে সঞ্জীব রায় ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছিলেন। তার সঙ্গে ভিকটিম বা অভিযুক্তদের কী সম্পর্ক কলকাতা পুলিশ এখনও সেটি খুঁজছে।”
এছাড়া ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, নিউ টাউনের যে ফ্ল্যাটে এমপি আজীমকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে , সেখানে পুলিশ কোনো লাশ খুঁজে পায়নি। কলকাতা পুলিশ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনকে এ তথ্য জানিয়েছে।
দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমরা কলকাতায় আমাদের উপ-হাইকমিশনের মাধ্যমে খোঁজ রাখছি। তারা কলকাতা পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ”।এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদও সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন।
তিনি বলেছেন, পারিবারিক, ব্যবসায়িক নাকি আর্থিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা খতিয়ে দেখা হবে। ভারতীয় পুলিশের সাথে প্রতি মুহূর্তেই কথা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে সে সব বিষয় বলতে চাচ্ছি না।
সংসদ ভবন এলাকা থেকে এমপি আজীম ভারতের উদ্দেশে বের হয়ে যান। এজন্য শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করার পরই ডিবি তদন্ত শুরু করবে।
এর আগে কলকাতা বিধান নগর পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মানব শ্রিংলা বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে ক্যাবচালক জানিয়েছে ১৩ই মে যে ব্যক্তিকে সে গাড়িতে তুলেছিল তাকে এই অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে নামিয়ে দেয়।”
এমপি আজীম নিখোঁজের ঘটনায় কলকাতা সংলগ্ন সিঁথি পুলিশ স্টেশনে একটি জিডি করা হয়। সেখানকার এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসি বাংলার অমিতাভ ভট্টশালীকে নিশ্চিত করেছেন, সঞ্জিভা গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটের ভেতরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
তিনি জানিয়েছেন, সেখানে রক্তের দাগ ও অন্যান্য প্রমাণ রয়েছে। ১৩ই মে ওই এমপির সাথে তিনজন সেখানে ঢুকেছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তারা একেকজন পৃথক পৃথকভাবে ওই ফ্ল্যাট থেকে বের হয়েছে। ১৫ই মে একজন, ১৬ই মে আরেকজন এবং ১৭ই মে আরেকজন বের হয়েছেন সেখান থেকে। তিন জনের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন।
বুধবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। এটা মার্ডার, খুন হয়েছে। এর নেপথ্যের বিষয় আপনাদের জানাবো।”
“যাদের আটক করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনের নেপথ্য কারণ জানা যাবে। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছুই জানাচ্ছি না। সব উদ্ধার করবো আমরা” বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট ইউনিটের কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তদন্তে নেমে তারা প্রথমে এমপি আনোয়ারুল আজীমকে বহনকারী ক্যাবচালককে আটক করেন।
সেই ক্যাবচালক তাদের জানিয়েছেন, আজীমকে তার গাড়িতে তোলার পর আরও তিনজন গাড়িতে ওঠেন। তাদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী। পরে এই চারজন কলকাতা নিউটাউনের ওই বাড়িতে যান।
এটিএফ কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এদের মধ্যে পুরুষ দুইজন বাংলাদেশে ফিরে যান। বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগকে জানানো হলে তারা দুই জনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের দেয়া তথ্য কলকাতার পুলিশকে জানানো হয়। এরপরেই এমপি আনোয়ারুল আজীমের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
আজীমের মেয়ের প্রতিক্রিয়া
আজীমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ঢাকায় মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “সর্বশেষ বাবার সাথে ভিডিও কলে কথা হয়। সেদিন বলেছিল আমাকে দাঁতের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া কথা ছিল। বলেছিল কলকাতা থেকে ফিরে আম্মু তোমাকে নিয়ে যাবো।”
আজীমের হত্যার ঘটনায় কাউকে সন্দেহ করেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “কাউকে সন্দেহ করি না। কিন্তু যারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের যাতে ধরা হয় সেটা চাই। বাবার হত্যার বিচারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।”
এর আগে ২০শে মে মি. আজীমের খোঁজ করতে গিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করেছিল।
তারা জানতে পেরেছে কলকাতায় বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার মোবাইলের লোকেশন একবার পাওয়া গিয়েছিল সেখানকার নিউমার্কেট এলাকায়। এরপর ১৭ই মে তার ফোন কিছুক্ষণের জন্য সচল ছিল বিহারের কোনও জায়গায়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এই তথ্য পেয়েছে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস কর্তৃপক্ষ, এমনটাই জানিয়েছিলেন উপ-দূতাবাসের এক কর্মকর্তা, যিনি তার নাম প্রকাশ করতে চাননি।
কলকাতার উত্তর শহরতলি বরাহনগর এলাকার সিঁথিতে যে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন মি. আজিম, সেই গোপাল বিশ্বাস বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন যে, ১৩ই মে তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যে ভাড়া করা গাড়িতে উঠেছিলেন মি. আজিম, সেটির চালকের সন্ধান পেয়েছে বলেই স্থানীয় পুলিশের তরফে তাকে জানানো হয়েছে।
“পুলিশের কাছে আমি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলাম। তারা ওই গাড়িটিকে খুঁজে বার করেছে আর চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ওই চালক নাকি পুলিশকে জানিয়েছেন যে সংসদ সদস্যের সঙ্গে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। এদের দুজনকে তিনি কলকাতা সংলগ্ন নিউ টাউন এলাকায় ছেড়ে দেন ১৩ই মে,” জানাচ্ছিলেন মি. বিশ্বাস।
এর বাইরে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ সংসদ সদস্যের ব্যাপারে আর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
২০শে মে উপ-দূতাবাসের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস সচিব রঞ্জন সেন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংসদ সদস্যের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের শনিবার জানানো হয়। তারপরই আমরা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা খোঁজখবর করছেন এমনটাই আমাদের জানানো হয়েছে।”
আবার শেষবার যেহেতু নিখোঁজ সংসদ সদস্যকে কলকাতায় দেখা গিয়েছিল, তাই কলকাতা পুলিশের সঙ্গেও অনানুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ রাখছিল বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস।
কলকাতার সিঁথি অঞ্চলের বাসিন্দা, ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস এর আগে বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, আনোয়ারুল আজীমের সঙ্গে দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে তার পারিবারিক সম্পর্ক।
গোপাল বলছিলেন, “এবারে তিনি এসে আমাকে বলেছিলেন যে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাবেন। কোন ডাক্তার ভালো হবে, সেটাও জানতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আমার জানাশোনা কোনও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ নেই, তাই আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম সল্ট লেকের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারেন”।
“ আমরা একসঙ্গে সকালের জলখাবার খেয়েছিলাম। তারপরে এটাও তাকে বলেছিলাম যে আমার গাড়ি সেদিন নেই, উনি যেন গাড়ির বন্দোবস্ত করে নেন। এরপরে আমি বাড়ির একতলায় অফিসে চলে আসি।”
“এরপর আমি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। দুপুরে বেরনোর সময়ে আমাকে বলে যান যে তিনি সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরবেন। তার খোঁজ না পাওয়ার পরে আমি যখন সিসিটিভি ফুটেজ দেখি, তখন জানতে পারি যে উনি আমার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দুপুর একটা ৪১ মিনিটে,” বলছিলেন গোপাল বিশ্বাস।
বরাহনগর থানায় যে নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন গোপাল বিশ্বাস সেখানে তিনি লিখেছেন, তার বাড়ির অদূরে বিধান পার্ক এলাকা থেকে ভাড়ার গাড়িটিতে ওঠেন আনোয়ারুল আজীম। তাকে গাড়িতে উঠতে দেখেছেন, এমন একজন প্রত্যক্ষদর্শীর কথাও পুলিশকে জানিয়েছেন গোপাল।সন্ধ্যায় বন্ধুর বাড়িতে ফিরে আসার কথা থাকলেও সেখানে ফেরেননি আজীম। হোয়াটস্অ্যাপে ১৩ই মে তিনি মেসেজ পাঠান যে “বিশেষ কাজে দিল্লি চলে যাচ্ছি এবং পৌঁছে ফোন করবো, তোমাদের ফোন করার দরকার নেই।”
ডাক্তার দেখাতে বের হয়ে দিল্লিতে?
কলকাতার গোপাল বিশ্বাসের গহনা রফতানির ব্যবসা আছে। তিনি জানাচ্ছিলেন, দুই আড়াই দশকের বন্ধুত্ব সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের সঙ্গে।
“বাংলাদেশে বিএনপির জমানায় ও ভারতে থাকত। আমাদের বাড়ি মাঝদিয়ায়। সেখানে সুভাষ আগরওয়ালের বাড়িতে থাকত আনার। আমার সঙ্গে সেখানেই পরিচয়, তারপরে বন্ধুত্ব। সম্পর্কটা এখন পারিবারিক স্তরে চলে গেছে,” জানালেন গোপাল বিশ্বাস। সে কারণেই চিকিৎসা করাতে এসে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন আনোয়ারুল আজীম।
সেদিন দুপুরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরে আজীম যে ভাড়াচালিত গাড়িতে উঠেছিলেন সেটির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
এরপর গোপাল বিশ্বাসকে পুলিশ জানিয়েছে,আজীমের সাথে আরেকজন বাংলাদেশি নাগরিককে নিউ টাউন অঞ্চলে ছেড়ে দেয়ার কথা জানিয়েছেন ওই চালক।
এরপর ১৫ই মে সকালে গোপাল বিশ্বাসআজীমের কাছ থেকে আবারও একটি হোয়াটস্অ্যাপ মেসেজ পান যে তিনি দিল্লি পৌঁছেছেন এবং তার সঙ্গে ‘ভিআইপিরা’ আছেন, তাই তাকে যেন ফোন না করা হয়।
এর দু’দিন পরে, ১৭ই মে গোপাল বিশ্বাসকে মি. আজীমের মেয়ে ফোন করে জানান যে তার বাবার সঙ্গে কিছুতেই তারা যোগাযোগ করতে পারছেন না।
“সে খবর জানতে পেরে কলকাতায় ওর যত ঘনিষ্ঠ মানুষ আছেন বলে আমি জানি, সবাইকে বিষয়টা জানাই। তারাও খোঁজ খবর করতে শুরু করেন। কিন্তু কোনোভাবেই আজীমকে ফোনে পাওয়া যায়নি,” বলছিলেন মি. বিশ্বাস। পরের দিন, ১৮ই মে বরাহনগর থানায় যান তিনি।
গোপাল বলছিলেন, “সেখানে আমাকে সারাদিন বসিয়ে রাখা হয়। পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। সেসব খতিয়ে দেখে আমার নিখোঁজ ডায়েরি নেওয়া হয়। তারা ওই ভাড়ার গাড়িটির নম্বরও পেয়ে যায়। চালকের সঙ্গে কথা বলেছে। নিশ্চয়ই পুলিশ খোঁজখবর করছে, আমাকে তো আর সব তথ্য জানাচ্ছে না।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশের উপ-দূতাবাস যে তথ্য পেয়েছিল, সে অনুযায়ী ১৭ই মে আজীমের মোবাইল নম্বরটি কিছুক্ষণের জন্য বিহারে অবস্থান করছিল।
আবার এটাও জানতে পেরেছে তারা যে মোবাইল সেট থেকে সিম কার্ডটি আলাদা করে রাখার কারণে সঠিক অবস্থান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এর আগে, ঢাকায় ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, “ তার দুটি বাংলাদেশি নম্বর আছে আর একটি ভারতের নম্বর। আমরা ভারতীয় পুলিশের সহযোগিতায় তার ভারতীয় নম্বরটি দেখলাম মুজাফফরাবাদ অর্থাৎ বিহারের দিকে।“
ঘটনাচক্রে বিহারে মুজাফফরাবাদ নামের জায়গা নেই। পাকিস্তান শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানীর নাম মুজাফফরাবাদ, আর প্রায় কাছাকাছি যে নামের জায়গা বিহারে আছে, সেই জায়গার নাম মুজফ্ফরপুর।
ডিবির প্রধান সেদিন জানিয়েছেন, “আমরা বিষয়টার খোঁজখবর রাখছি। ভারতের যারা বাংলাদেশে আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলছি, আবার ভারতীয় পুলিশের সঙ্গেও কথা বলছি। উনার পরিবারও যোগাযোগ রাখছে আমাদের সঙ্গে। তার মেয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন।” ডিবি কার্যালয়ে বাবার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন সংসদ সদস্যের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

বিপি।এসএম

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী