308
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: ভারতে মেঘালয় হতে গারো পাহাড়ের সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল, ও অবিরাম ভারী বৃষ্টির ফলেই সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।
গত দুই দিন যাবত ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ও সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উন্নতি হয়েছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, যদি আর ভারী বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে আরও উন্নতি হবে। সুনামগঞ্জ জেলার সব কয়টি উপজেলার রাস্তাঘাট ও ঘরে এখনও পানি বন্ধী রয়েছে। অনেকের ঘর থেকে পানি নামলেও বাড়ির উঠানে ও সড়কে পানি রয়েছে । গতকাল থেকে রৌদের ঝিলিক থাকায় মানুষ তাদের ঘরের চাল ডাল সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র রৌদে শুকাচ্চেন। কেউ কেউ আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন। ধর্মপাশা, মধ্যরগর ও জামালগঞ্জ উপজেলায় দুশতাধিক গ্রামের অনেক জায়গাতেই রাস্তাঘাট ও ঘর বাড়ী প্লাবিত। এদিকে ধর্মপাশা থেকে মধ্যনগর উপজেলার রাস্তা মাত্র একটি। চলাচল কারী সড়ক এখনও প্লাবিত ফলে লোকজন নৌকা যোগে পারাপার হচ্ছেন। মধ্যনগর থেকে মহিষ খলা সড়কে ও হাটুঁ পরিমাণ পানি। ঘর থেকেও পানি নামলেও ঘরের অবস্হা খুবই নাজুক। গ্রামের অবস্থা আরও বেশী একপাড়া থেকে আরেক পাড়া যাওয়া যাচ্ছেনা। বানভাসী মানুষ খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে ভূগছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রান সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত আছে কিন্ত প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। অনেক জায়গাতেই চেয়ারম্যান, মেম্বার দের দেখাই মিলছে না, ত্রান মিলবে দুরের কথা। উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার দেয়া হচ্চে না। অনেকেই বাড়ি ঘরে থেকে কিছুই পাননি।
উপজেলার ভানবাসী জলিল মিয়া (৫১) জানান গত ৫ দিন যাবত পানিতে এলাকার মানুষের নানা ভোগান্তির শিকার। কিন্ত উপজেলার চেয়ারম্যান ছাড়া আর কেউ খোঁজ খবর নেন নি। উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের জাহেদা (৪৫) জানান গত ৫ দিনে আমার দিন মজুর স্বামীর কোন কাজ কর্ম ছিল না, তাই খুব সমস্যার মধ্যে ছিলাম কিন্ত কেউ সাহায্য করেনি। সুখাইর রাজাপুর ইউনিয়নের রহিছ মিয়া (৫৫) জানান এ পর্যন্ত কোন সাহায্য পাইনি,আশপাশের লোকজন ও পায়নি। সাহিদা বেগম জানান তার স্বামী নেই, শিশু ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে হাওরের পাশে ঘরে খুব সমস্যার মধ্যেই জীবন যাপন করছেন,ঘরে খাবার নেই কোন কাজ নেই। উপজেলার নিম্নাঞ্চল এখনও প্লাবিত। উপজেলার সাথে এখনও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে।
বিপি/টিআই