ছাবেদ সাথী, ভার্জিনিয়া থেকে ফিরে: যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ফোবানা সম্মেলনের মহামিলন মেলায় ঢল নেমেছিল প্রবাসীদের। ভার্জিনিয়ার আর্লিংটন শহর প্রবাসীদের পদচারণার তিন দিন ক্ষুদে বাংলাদেশে পরিণত হয়েছিল। আর এ কারণেই ফোবানা সম্মেলনের ইতিহাসে নয়া রেকর্ড গড়লেন ভার্জিনিয়ার ৩৮তম ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোশিয়েশন্স ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা) সম্মেলন। তিন দিনব্যাপী ৩৮তম ঐতিহাসিক ফোবানা সম্মেলন সফল করে যুক্তরাষ্ট্রের হাজারো প্রবাসীদের তাক লাগিয়ে দিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি (বাগডিসি)। প্রবাসীদের আশানুরূপ উপস্থিতি দেখে সম্মেলনের দর্শকশ্রোতারা খুব আনন্দিত বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার ৩০ আগস্ট থেকে ভার্জিনিয়া আর্লিংটনের ক্রিস্টাল গেটওয়ে ম্যারিয়ট হোটেলে শুরু হওয়া উত্তর আমেরিকার প্রবাসীদের বাঙালিদের মিলনমেলাখ্যাত ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোশিয়েশন্স ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা) সম্মেলন শেষ হয়েছে গত রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে।
ভার্জিনিয়ার প্রাণকেন্দ্র আর্লিংটনের ক্রিস্টাল গেটওয়ে ম্যারিয়ট হোটেলে ৩৮তম ফোবানা সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ভয়েস অব আমেরিকার কিংবদন্তী সাংবাদিক ইকবাল বাহার চৌধুরী। ৩৮তম ফোবানা সম্মেলনের আহবায়ক রোকসানা পারভীন ও সদস্য সচিব আবু রুমি, প্রেসিডেন্ট নুরুল আমিন নুরু, চেয়ারপারসন এটর্নি মোহাম্মদ আলমগীর, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আবীর আলমগীর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে যোগ দিতে গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসিসহ প্রায় ২৫টি অঙ্গরাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে হাজারো দর্শক বিকেলের মধ্যেই হাজির হন সম্মেলন স্থলে। ভার্জিনিয়ার ফোবানার আয়োজকরা জানান, উত্তর আমেরিকার প্রায় ৮৬টি সংগঠন এবারের সম্মেলনে অংশ নিতে ভার্জিনিয়ায় উপস্থিত হন।
মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত বাংলাদেশিরাও একদিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ভার্জিনিয়ায় অনুষ্ঠিত ৩৮তম সম্মেলনের উদ্বোধক ও ভয়েস অব আমেরিকার কিংবদন্তী সাংবাদিক ইকবাল বাহার চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রবাসে এ রকমের সম্মেলন করে শিক্ষার্থীদের মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে উৎসাহ দিতে হবে। তাহলে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মত বাংলাদেশিরাও একদিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেবেন। গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের আর্লিংটনের ক্রিস্টাল গেটওয়ে ম্যারিয়ট হোটেলে ৩৮তম সম্মেলনের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি সাংবাদিক ইকবাল বাহার চৌধুরী ১৯৮৭ সালে কীভাবে প্রথম বাংলাদেশ সম্মেলন হয়েছিলো সে বিষয়ে তার গল্প শোনান। ঐ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পশ্চিমবঙ্গের বসবাসকারী মানুষরা এখানে বঙ্গ সম্মেলন করতো। সেই আইডিয়া থেকেই আমরা বেশ কয়েজন মিলে প্রথম বাংলাদেশ সম্মেলন শুরু করি। প্রথম সম্মেলন হয়েছিল ওয়াশিংটন ডিসিতে। দ্বিতীয় সম্মেলন নিউ ইয়র্কে এবং তৃতীয় ও চতুর্থ সম্মেলন হয়েছিল যথাক্রমে বোস্টন ও টেক্সাসে। এরপর হাটিহাটি পা পা করে আজ ফোবানার ৩৮তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ এ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। শারীরিক অবস্থার কারণে আগামী ফোবানা সম্মেলন যোগ দিতে পারবো কিনা জানি না।
ইকবাল বাহার বলেন, দেশে যেভাবে নানা পরিবর্তন হয়েছে তেমনি ভাবে শিক্ষার মান উন্নয়নসহ নানা পরিবর্তনের প্রয়োজন। তাহলেই আমরা একটি উন্নত জাতি দেখতে পাবো। একই সঙ্গে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে হবে। আমাদের প্রজন্ম একদিন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
৩৮তম ফোবানা সম্মেলনের বর্তমান চেয়ারপারসন এটর্নি মোহাম্মদ আলমগীর, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আবীর আলমগীর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ৮৬টি বাংলাদেশি সংগঠনের অংশ গ্রহণ করেছে এবারের ফোবানা সম্মেলনে। ২৫টিরও বেশি অঙ্গরাজ্য থেকে শতশত শিল্পী ও কলা-কুশলীরা ভার্জিনিয়ায় উপস্থিত ছিলেন। তিন দিন সাংস্কৃতিককর্মীরা তাদের বৈচিত্রময় সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আমাদের দর্শকশ্রোতাদের আনন্দ দেন।
শামীম চৌধুরী ও আবীর আলমগীরের যৌথ সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ভার্জিনিয়া স্টেট সিনেটর ড. গাজালা এফ হাশমী, ভার্জিনিয়া স্টেটের একমাত্র বাংলাদেশি সিনেটর সাদ্দাম আজলান সেলিম, আর্লিংটন কাউন্টি বোর্ডের সদস্য সুসান কুনিংহাম, রিজিওনাল ডাইরেক্টর তানিয়া ট্যালেন্টো, ইউএস সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার। ৩৮তম ফোবানা সম্মেলনের কোষাধক্ষ্য ড. প্রিয়লাল কর্মকার মূলধারার রাজনীতিবীদদের আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদেরকে সম্মেলনে আসার জন্য সর্বদাই যোগাযোগ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান রোকেয়া হায়দার, স্কটল্যান্ড থেকে আগত অতিথি স্কটিস পার্লালামেন্টের সদস্য ফয়সল চৌধুরী, ৩৮তম ফোবানা সম্মেলনের বর্তমান চেয়ারপারসন এটর্নি মোহাম্মদ আলমগীর, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আবীর আলমগীর, আহবায়ক রোকসানা পারভীন ও সদস্য সচিব আবু রুমি, প্রেসিডেন্ট নুরুল আমিন নুরু, নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি মাসুদ রব চৌধুরী, যুগ্ম এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি খালেদ রউফ, ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিফ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্রিস্টাল গেটওয়ে ম্যারিয়ট হোটেলে ‘ব্লাক টাই ডিনারে’ অংশ নেন অতিথিবৃন্দরা। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন স্বাগতিক সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি (বাগডিসি)। ৩৮তম ফোবানা সম্মেলনের আহবায়ক আহবায়ক রোকসানা পারভীন, সদস্য সচিব আবু রুমি, প্রেসিডেন্ট নুরুল আমিন নুরু ও সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা উক্ত ব্লাক টাই ডিনারে নেতৃত্ব দেন। ৩৮তম ফোবানা কনভেনশনের আহবায়ক কমিটির মূল দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা হলেন-রোকসানা পারভীন কনভেনর, আবু রুমী-মেম্বার সেক্রেটারি, নুরুল আমিন নুরু-হোস্ট প্রেসিডেন্ট, এন্থনী পিউস গোমেজ-চিফ কোঅর্ডিনেটর।
এছাড়াও হোস্ট কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে আরও যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা হলেন-তাসকিন বিন্তে সিদ্দিকী-চেয়ার, কালচারাল, প্রদীপ ঘোষ-চেয়ার ফিন্যান্স, এটিএম আলম- চেয়ার বাজেট এন্ড প্ল্যানিং, কচি খান-চেয়ার, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, করিম সালাউদ্দিন-চিফ এক্সেকিউটিভ কন্সাল্ট্যান্ট।
শুক্রবার সন্ধায় বাংলাদেশ, আমেরিকান ও কানাডার জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ৩৮তম ফোবানার উদ্ভোধনী অনুষ্টানের শুভ সুচনা হয়। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি (বাগডিসি)’র শিল্পীরা বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার (তিন দেশের) জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এতে অংশ নেন অঙ্কিতা বড়ুয়া, অবন্তী বড়ুয়া, পিউলী ঘোষ, রাজদীপ ঘোষ, হোসেন ইসলাম, জয়নব ইসলামও আনন্দী বড়ুয়া। রাতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আশিম রানা, শিমা খান, তসলিম হাসান, দিনার মনি, উৎপল বড়ুয়া, শিমুল ঘোষ, দিথি আনোয়ার, রেশমি মির্জা, তোশিবা,প্রিয়ংবদা ব্যানার্জী ও আরজিন কামাল।
শনিবারের অনুষ্ঠানে অংশ নেন- একাত্তর ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ আমেরিকান আইটি প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (বাইটপো), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন
অব ক্যানসাস, বিজ্ঞান মেলা শিশুদের স্বীকৃতি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ পেনসিলভেনিয়া, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ গ্রেটার হ্যারিসবার্গ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ মিসৌরি, আটলান্টা কালচারাল সোসাইটি. স্বাধীন বাংলা সাংস্কৃতিক সংগঠন (ভিএ), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা ইনক (বাই),বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ফিনিক্স (বিএপি), ওপারাজেয় বাংলা (ভিএ), বর্ণমালা স্কুল, নৃত্য তারকাদের পারফরম্যান্স (প্রতিযোগীতার বিজয়ী):
নৃত্য তারকা নৃত্য তারকা পুরস্কার ও ফোবানা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, রবিশঙ্করকে শ্রদ্ধা নিবেদনে সেতার বাজিয়ে শোনান সম্ব্রত রক্ষিত, তবলায় সঙ্গত করেন দেবী নায়ক। শেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রোমেল খান, মোমো, স্বপ্নীল সজিব, অনিমা ডি’কস্তা,বিউটি দাস ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ।
রবিবারের অনুষ্ঠানে অংশ নেন-ইয়ুথ ট্যালেন্ট রিকগনিজেশন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালিফোর্নিয়া, সিংগিং স্টার পারফরম্যান্স, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ মিশিগান, বাংলাদেশ থিয়েটার হিউস্টন, বৃহত্তর শিকাগোর বাংলাদেশ কমিউনিটি, আটলান্টা (দুটি সংস্থা), ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্যামিলি ইলা শোব এবং স্নেহা সোহা, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ গ্রেটার কানসাস সিটি, সুন্দরবন (ফেরদৌস ইকরাম), ড্রামা সার্কেল ও বাংলা স্কুল (বিসিসিডিআই), ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সমর্থন ও অবদানের জন্য লতা মুঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান জেনিথ এশা সমাদ্দার কথা, তনুশ্রী দত্ত
তরুণ তারকা পারফরম্যান্স-পিউলী ঘোষ। রাতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আঁখি আলমগীর, মোজা ও জেফার। অনুষ্ঠানের মাঝে সমাজের বিশিষ্ট গুণী ব্যক্তিসহ পৃষ্টপোষোকদের হাতে পদক তুলে দেন ফোবানার কর্মকর্তাবৃন্দ।
তিন দিনের এবারের ফোবানা সম্মেলনে ছিলো- গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সেমিনার, সাহিত্য, কারিগরি শিক্ষার প্রভাব ও উন্নয়ন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও সাইবার সিকিউরিটি, নারীর ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন, মূলধারায় নেতৃত্বের বিকাশ, ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা, আরবান ডেভেলপমেন্ট, ন্যানো টেকনোলজির এবং এর কার্যকারিতা, স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে এআই এর প্রভাব, তরুণ মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের স্কলাশিপ অ্যাওয়ার্ড, তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণে সংগীত ও নৃত্য প্রতিযোগিতা, ক্ষমতায়নে নারীর ভূমিকা, অর্জন এবং তাৎপর্য, কারুপণ্য শিল্পের প্রদর্শনী, বর্ণীল ফ্যাশন শো, সাহিত্যের উপর আলোকপাত এবং কাব্য জলসা, ফোবানা গ্রন্থমেলা, যুব ফোরাম ও নেটওয়ার্কিং, এনআরবি ব্যবসায়ী এবং ব্যবসা উদ্যোক্তাদের, নেটওয়ার্কিং, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এলামনাই ফোরাম নিয়ে আলোচনা, আন্তঃধর্মীয় শান্তি আলোচনা, বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শিনী ইত্যাদি।
৩৮তম ফোবানার আহবায়ক আহবায়ক রোকসানা পারভীন বলেন, আমাদের সফলতার কথা নিজেরাই বলবো না। এটি ফোবানা সম্মেলনে আগত দর্শকশ্রোতারাই বলবে ৩৮তম ফোবানা সম্মেলন কেমন হয়েছে। তবে এতটুকুই বলবো আমি এবং আমার সাথে যারা কাজ করেছেন আমরা সবাই খুব খুশি যে ভার্গিনিয়ায় এত মানুষের সমাগম করতে পেরেছি। আমাদের যে লক্ষ্য ছিলো তা সার্বিক ভাবেই সফল হয়েছে। গত তিনদিনে সবাই অনেক আনন্দ বিনোদনে মেতে উঠেছিল। সবাই প্রবাসের কথা ভুলে গিতে গত তিনদিন শুধু বাংলাদেশেরই কথা ভেবেছে। তারা সবাই হারিয়ে গিয়েছিলেন নিজেদের অজান্তে। তিনি আয়োজক কমিটির সকল নেতাকর্মীসহ সকল শিল্পী-কলা কুশলী এবং উপস্থিত দর্শকশ্রোতাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
চেয়ারপারসন এটর্নি মোহাম্মদ আলমগীর ও এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আবীর আলমগীর বলেন, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি (বাগডিসি)এর আয়োজিত ৩৮তম ফোবানা সম্মেলনটি অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবারের ফোবানা সম্মেলন জনসমাগম ও সফলতার ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক স্হাপন করেছে বলে তারা মনে করেন। অধিক প্রবাসী বাংলাদেশি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে। সামান্য ভুল ত্রুটি ছাড়া সাংগঠনিক ভাবে আয়োজক কমিটি অত্যন্ত যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে।
তিন দিনের সম্মেলনে হাজার হাজার বাংলাদেশিদের উপস্থিতি মুগ্ধ করেছে সকলকে। আমেরিকার ২৫ স্টেটের মোট ৮৬টি সংগঠন অংশগ্রহন করেছিলেন সম্মেলনে। অতীতের সম্মেলন গুলোতে দেখা গেছে সাধারনত মুল মঞ্চের অনুষ্ঠান গুলোতেই দর্শকদের উপস্থিতি এবং আকর্ষনটা বেশি থাকে, কিন্তু এবারের সম্মেলনে মুল মঞ্চের অনুষ্ঠান ছাড়াও কনভেনশন হলের ফ্লোরেই নানান অনুষ্ঠানগুলিতে সারাদিন ধরেই উপচে পরা দর্শকদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পরার মতো। সম্মেলনে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহন ছিলো উল্লেখযোগ্য। ইয়ুথ ফোরাম, কাব্য জলসা, বিজনেস নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট সহ বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক সেমিনার গুলোতে ছিলো প্রচুর দর্শক। ফোবানার কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে তারা আয়োজক কমিটিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আগামী ২০২৫ সালের ৩৯তম ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে জর্জিরার আটলান্টায়। স্বাগতিক সম্মেলন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলা ধারা। ছাড়াও ২০২৬ সালে ৪০তম ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ক্যালিফোর্নিয়ার লস আঞ্জেলেসে। স্বাগতিক সম্মেলন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালিফোর্নিয়া।
বিপি।এসএম