দুলাল হক,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও-২ আসনের ৭ বারের নির্বাচিত সাবেক এমপি আলহাজ্জ দবিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ তাকে রুহিয়া থানাধীন রামনাথ বাজার সংলগ্ন আওয়ামীলীগ নেতা প্রয়াত আলমগীর হোসেনের বাসা হতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আত্নগোপনে ছিলেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের ৭ বারের নির্বাচিত এমপি আলহাজ্জ দবিরুল ইসলাম।এছাড়াও বালিয়াডাঙ্গী থানার একটি চাঁদাবাজি মামলায় পলাতক থাকায় বুধবার রাতে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ রুহিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় রামনাথ বাজার সংলগ্ন আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আলমগীরের বাসায় অভিযান চালায় এবং এমপি দবিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলা মোটর মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবলু বাদী হয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদাবজির অভিযোগ এনে আলহাজ্জ দবিরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে তার ২ ছেলে ভাই ভাতিজা সহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।মামলা নং ১২ তাং ১১/০৯/২০২৪।
মামলায় অভিযোগ করা হয়,বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় হাবিবুর রহমান বাবলুর কবলা খরিদা এবং আমমোক্তারনামা বলে ৯০ একর জমি রয়েছে।এরমধ্যে ২০ একর জমি তার দখলে রয়েছে।বাকি ৭০ একর জমি এমপি দবিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তার ছেলে এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজন সহ তাদের দলীয় লোকজন ওই জমিতে প্রবেশে বাঁধা দিয়ে আসছে। আসামীগণের কারণে বাদী জমির দখল নিতে পারছেন না।জমির দখলে গেলে আসামীরা ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে।এদিকে গত ১০ আগষ্ট বাবলু তার জমিতে গেলে এজাহারনামীয় আসামীগণ তাতে বাঁধা প্রদান করে এবং ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে।অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।এ ঘটনায় হাবিবুর রহমান বাবলু আদালতে মামলা দায়ের করে।বাদীর ওই অভিযোগ বালিয়াডাঙ্গী থানায় নিয়মিত মামলারুজু করা হয়।
এরপূর্বে গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার নিকুন্জ এলাকা হতে গ্রেফতার হয় এমপি দবিরুল ইসলামের বড় ছেলে মাজহারুল ইসলাম সুজন।
উল্লেখ্য,আলহাজ্জ দবিরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও -২ আসন হতে ১৯৮৬ সালে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন।তারপর থেকে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ পর্যন্ত তিনি ঠাকুরগাঁও-২ আসনে টানা ৭ বার এমপি নির্বাচিত হন।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল রহমান।
বিপি/কেজে