নোমান সাবিত: যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোর একটি গ্র্যান্ড জুরি অভ্যন্তরীণ রাজস্ব পরিষেবা (আইআরএস)-এ মিথ্যা কর রিটার্ন দাখিলের অভিযোগে একজন সার্টিফায়েড পাবলিক অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিপিএ) কে অভিযুক্ত করেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিচার বিভাগের কর বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল কারেন কেলি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একটি সুত্র জানিয়েছে এ ধরণের মিথ্যা কর রিটার্ন দাখিলকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথভাবে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন মার্কিন সরকার। প্রতিবছর অর্ধ শতাধিক বাংলাদেশি সার্টিফায়েড পাবলিক অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিপিএ) বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য মিথ্যা কর রিটার্ন দাখিল করে থাকেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে নিউ ইয়র্কসহ বিভিন্ন শহরে হোম কেয়ার ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা কর রিটার্ন দাখিল করে আসছেন। এ ধরণের মিথ্যা কর রিটার্ন দাখিলের দায়ে বাংলাদেশি সার্টিফায়েড পাবলিক অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিপিএ)রাও অভিযুক্ত হতে পারেন বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
অভিযোগপত্র অনুসারে জানা যায়, সান রাফায়েলের বাসিন্দা মাইকেল এম. গিলবার্ট তার নিজের এবং তার নিয়ন্ত্রণাধীন দুটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য মিথ্যা কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। গিলবার্ট যিনি ১৯৮৫ সাল থেকে একজন সার্টিফায়েড পাবলিক অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিপিএ)। অভিযোগ অনুসারে ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তার অ্যাকাউন্টিং ও কর প্রস্তুতি ব্যবসা এম.এম. গিলবার্ট অ্যান্ড কোম্পানি ইনক এর মোট আয়ের চেয়ে কম দেখিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গিলবার্ট তার ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে ‘ট্যাক্স স্ট্র্যাটেজি’ এবং ‘ডোনেশন’ এর নামে অর্থ গ্রহণ করতেন যা তারা হোয়াইট মাউন্টেন প্রোপার্টি ইনক নামে তার আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করতেন। কিন্তু গিলবার্ট ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে হোয়াইট মাউন্টেন এর ব্যবসায়িক কর রিটার্নে এই অর্থকে আয় হিসাবে দেখাননি। অভিযোগ অনুসারে ২০২০ ও ২০২১ সালে তিনি হোয়াইট মাউন্টেন থেকে ৫ মিলিয়নের বেশি অর্থ নিজের কাছে স্থানান্তর করেছেন যা তিনি তার ব্যক্তিগত কর রিটার্নে রিপোর্ট করেননি।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি গিলবার্টের প্রাথমিক আদালতে হাজিরা দেবার দিন নির্ধারন করা হয়েছে। সেখানে তিনি উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার মার্কিন ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক লরেল বিলারের সামনে হাজির হবেন। যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন তবে প্রত্যেকটি মিথ্যা কর রিটার্ন দাখিলের অভিযোগে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে পারেন।
বিচার বিভাগের কর বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল কারেন কেলি এই ঘোষণা করেছেন।
এই মামলার তদন্ত করছে আইআরএস-এর ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। কর বিভাগের ট্রায়াল অ্যাটর্নি জুলিয়া এম রাগ এবং প্যাট্রিক বার্নস মামলাটি পরিচালনা করছেন।
এটি শুধুমাত্র একটি অভিযোগপত্র। আইন অনুযায়ী আদালতে সন্দেহাতীতভাবে দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নির্দোষ হিসেবে গণ্য করা হয়।
বিপি।এসএম