বাংলাপ্রেস ডেস্ক: এখন আর কোনো রিসিভার থাকবে না বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলো দেখভাল করার জন্য। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারিতে নিজস্ব তত্ত্বাবধানেই বেক্সিমকো গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠান চলবে। এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে হাই কোর্ট।
রিসিভার নিয়োগে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেয়।
আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার মো. মনিরুজ্জামান। অপরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান।
গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকোর গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করতে রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।
সেইসঙ্গে, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানের নেয়া অর্থ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বাংলাদেশ ব্যাংককে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোতে অস্থিরতা চলছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান। তিনি বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
বুধবারের রায়ে আদালতে বলেছে, বেক্সিমকোর হাজার হাজার কর্মীর স্বার্থে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দ্বারাই পরিচালিত হওয়া উচিত। তবে এরই মধ্যে নিয়োগ দেয়া রিসিভার যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা বৈধ বলে গণ্য হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুরোর ওপর সঠিকভাবে নজরদারি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে রায়ে।
বেক্সিমকো গ্রুপের মোট ১৮৯টি কোম্পানির মধ্যে ১৬৯টি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত।
গত আগস্টে রুল জারির সময় এসব কোম্পানিতে ৬ মাসের জন্য রিসিভার বসাতে বলা হয়েছিল। পরে আপিল বিভাগের আদেশে বেক্সিমকো ফার্মায় রিসিভার নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়। বুধবার অন্য সব কোম্পানির ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত এল।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি/কেজে