ছাবেদ সাথী
বাজার অনিশ্চয়তাকে ঘৃণা করে। অন্তত, ওয়াল স্ট্রিটে সাম্প্রতিক ধ্বংসযজ্ঞের একটি ব্যাখ্যা হিসেবে বিশেষজ্ঞরা এটাই বলে আসছেন। সাধারণভাবে এটি খুব সন্তোষজনক ব্যাখ্যা নয়। বাজার বলতে আমরা বুঝি কোটি কোটি মানুষের সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া এবং মানুষ স্বভাবতই অনিশ্চিত আচরণ করে। তাদের চালিত করে স্বার্থ, ভয়, লোভ, ভুল তথ্য, উচ্ছ্বাস, সতর্কতা, আশাবাদ এবং গুজব। তাই বাজার নিজেই আসলে অনিশ্চিত।
তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে, বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক কার্যক্রমকে ঘিরে যে ‘অনিশ্চয়তা’ তৈরি হয়েছে, তা কিছুটা ভিন্ন রকম।
ভাবুন তো, আপনি একজন আমেরিকান বস্ত্র প্রস্তুতকারক। বহু বছর ধরে আপনি ভিয়েতনাম থেকে আসা সস্তা আমদানির কারণে বিপর্যস্ত। ২০২২ সালে শুধু ভিয়েতনাম থেকেই প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলারের বস্ত্র (পাদুকা ও টুপি-সহ) আমদানি করা হয়েছে।
কিন্তু গত সপ্তাহে, ‘লিবারেশন ডে’-তে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঐসব পণ্যের উপর ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন। এতে আপনি হয়ত নতুন করে প্রতিযোগিতার সুবিধা পাবেন, যা আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন সম্প্রসারণে উৎসাহিত করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, প্রেসিডেন্ট নিজেই বলেছিলেন, শিল্পখাত পুনর্গঠনই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। তার ভাষায়: ‘চাকরি ও কারখানাগুলো আমাদের দেশে ঝড়ের বেগে ফিরে আসবে… আমরা আমাদের দেশীয় শিল্পখাতকে সুপারচার্জ করবো।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বাংলাদেশের পণ্য আমেরিকার বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে। যা বাংলাদেশকে নতুন করে অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তবে বাংলাদেশেকে যেকোনো প্রতিক্রিয়া জানানোর ব্যাপারে কৌশলী হতে হবে বলেও মনে করেন তারা।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সমস্ত পণ্যের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশসহ প্রায় ৬০টি দেশের ওপর নির্দিষ্ট হারে আরও বেশি ‘রেসিপ্রোকাল শুল্ক’ আরোপ করা হবে। আগে বাংলাদেশি পণ্য গড়ে ১৫.৬২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে মার্কিন বাজারে প্রবেশ করতো।
এপ্রিল হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রকাশিত একটি চার্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ মার্কিন পণ্যের ওপর ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তাই, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ ‘ডিসকাউন্টেড রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ ধার্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই পরিবর্তন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। এমন একটি অনিশ্চিত ব্যবস্থায় কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ’
তিনি বলেন, বিশাল শুল্কের কারণে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ঐতিহাসিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পোশাকের অন্যতম প্রধান রপ্তানি গন্তব্য। শুল্ক আরোপের কারণে বাংলাদেশের পণ্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট বৈশ্বিক রপ্তানির ১৭ থেকে ১৮ শতাংশই যায় যুক্তরাষ্ট্রে।
অধ্যাপক রায়হান এই শুল্ক আরোপের বৃহত্তর প্রভাবের কথা তুলে ধরে লিখেছেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাণিজ্যে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটি দীর্ঘদিন ধরে গ্যাট (GATT)/বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) কাঠামোর ভিত্তি হিসেবে থাকা সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ (MFN) নীতির সম্ভাব্য সমাপ্তি অথবা একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ ব্যবস্থায় বিভিন্ন দেশের জন্য এমনকি বিভিন্ন পণ্যের জন্য ভিন্ন ভিন্ন শুল্ক হার প্রযোজ্য হবে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশকে আরও অনিশ্চিত করে তুলবে।
অধ্যাপক রায়হান লিখেছেন, ‘এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে কারা লাভবান হবে আর কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা নির্ধারণ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। একই সঙ্গে এটি বিশ্ব বাণিজ্য পরিবেশকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলছে। ’
অর্থনীতিবিদ রায়হান মনে করেন, ‘এই নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে অবশ্যই তার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নীতিগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে হবে এবং পরিবর্তিত বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় নিজের অবস্থান সুরক্ষিত করতে মূল অংশীদারদের সঙ্গে বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়াতে হবে। ’
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বার্তায় বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের শুল্ক পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দ্রুত শুল্ক যৌক্তিকীকরণের বিকল্পগুলো চিহ্নিত করছে, যা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দেশটি আমাদের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা জোরদারে কাজ করে আসছি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে চলমান এই কার্যক্রম শুল্কসংক্রান্ত বিষয়ের সমাধানে সহায়তা করবে।
ট্রাম্পের এই শুল্ক নীতি নিয়ে এইচঅ্যান্ডএম-সহ প্রধান পোশাক খুচরা বিক্রেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এইচঅ্যান্ডএমের সিইও ড্যানিয়েল এরভার বলেছেন, এই শুল্কের কারণে মার্কিন ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে হবে।
এদিকে ব্লুমবার্গ ইকোনমিকসের বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, এর ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা রপ্তানি ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে।
এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোও নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের মুখে পড়েছে। হোয়াইট হাউসের নথি অনুসারে, ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। উচ্চ শুল্কের মুখে পড়া অন্যান্য দেশের মধ্যে রয়েছে জাপান (২৪%), দক্ষিণ কোরিয়া (২৫%), ভারত (২৬%), কম্বোডিয়া (৪৯%) এবং তাইওয়ান (৩২%)।
ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের প্রধান লক্ষ্যবস্তু চীনকে ৩৪ শতাংশ রেসিপ্রোকাল ট্যারিফের সম্মুখীন হতে হবে। এর সঙ্গে মাদক সংক্রান্ত বিদ্যমান ২০ শতাংশ শুল্ক এবং সোলার প্যানেলের মতো পণ্যের ওপর পৃথক শুল্ক যুক্ত হবে। ফলে অনেক চীনা পণ্যের ওপর কার্যকর শুল্কের হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।
ইউএসটিআরের (ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ১.১ শতাংশ বেড়ে ৮.৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অবদান তৈরি পোশাক খাতের। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানি ১.৫ শতাংশ কমে ২.২ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এর ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে ৬.২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু আপনি যখন পুরনো বস্ত্রকল খুঁজে বের করে নতুন করে চালু করার চিন্তা করছেন, তখনই ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লিখলেন, ‘আমি ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি জেনারেল তো লাম-এর সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ একটি ফোনালাপ করেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করা সম্ভব হয়, তাহলে ভিয়েতনাম তাদের শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনতে চায়। আমি দেশের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি এবং শিগগিরই একটি বৈঠকের প্রত্যাশা করছি।’
এখন আপনি বিভ্রান্ত। ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি কি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিগুলো নতুনভাবে সাজানোর একটি পদক্ষেপ, না কি এটি আসলে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পখাত পুনর্গঠনের একটি প্রচেষ্টা?
ট্রাম্পের দল এই প্রশ্নে খুব একটা সহায়ক হয়নি। এই সপ্তাহের শুরুতে হোয়াইট হাউসের সিনিয়র ট্রেড উপদেষ্টা পিটার নাভারো ঘোষণা দেন, এই শুল্ক বিতর্কের অংশ হিসেবে কোনো আলোচনা হবে না। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ঠিক বিপরীত কথা বলেন।
নাভারো নিজেও নিজের বক্তব্যে পরস্পরবিরোধিতা করেন। সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভিয়েতনামের শূন্য শুল্কের প্রস্তাব ‘যথেষ্ট নয়।’ শুনে মনে হয় শুল্ক স্থায়ী হবে। কিন্তু পরবর্তী বাক্যেই তিনি বলেন: ‘মূল বিষয় হল শুল্কবহির্ভূত প্রতারণা।’
একদিকে তিনি ঠিকই বলেছেন—শুল্ক না থাকলেও যদি কাস্টমস প্রক্রিয়ায় ছয় মাস লেগে যায়, তাহলে সেই সুবিধার কোনো মূল্য থাকে না। কিন্তু তিনি সম্ভবত ভুলে গেছেন, এই বক্তব্যই আসলে ইঙ্গিত দেয় যে, শুল্কবহির্ভূত বিষয়গুলো সমাধান হলে শুল্ক তুলে নেওয়া হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে সেই আমেরিকান বস্ত্র উদ্যোক্তা দিশেহারা। একটি নতুন কারখানা স্থাপন করতে শুধু অর্থই নয়, সময়ও প্রয়োজন। যদি শুল্ক স্থায়ী হয়, তাহলে সময় থাকত কারখানা চালু করে বাজারে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার। কিন্তু যদি শুল্ক আসলে শুধু একধরনের কৌশল হয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার, তাহলে নতুন বিনিয়োগ করা রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ।
ভাবুন তো, আপনি সময় ও অর্থ ব্যয় করে একটি নতুন কারখানা খুললেন, আর তারপর হঠাৎ করেই ভিয়েতনামের ওপর শুল্ক শূন্য হয়ে গেল। তখন নতুন সেই কারখানাটি আপনার জন্য একটি ‘হোয়াইট এলিফ্যান্ট’ হয়ে উঠতে পারে—আপনার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতে পারে।
হোয়াইট হাউস মনে করছে, শুল্কের মাধ্যমে তারা দুইটি কাজ করতে চায়: আমেরিকান শিল্পের পুনর্জাগরণ এবং বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে আরও ন্যায্য চুক্তি অর্জন। স্পষ্ট করে বলতে গেলে, দুইটি লক্ষ্যই প্রশংসনীয়। যেকোনো একটি অর্জন করাও হবে একটি বিশাল সাফল্য, ট্রাম্প প্রশাসনের জন্যও।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে—এই দুইটি লক্ষ্য একসঙ্গে অর্জন করা আদৌ সম্ভব কিনা?
হোয়াইট হাউস মনে করিয়ে দিচ্ছে—শুধু শুল্ক নয়, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে তারা আরও অনেক কিছু করছে। তারা নিয়মশিথিল করছে, জ্বালানি সম্পদ মুক্ত করছে এবং একটি প্রবৃদ্ধিমুখী করনীতি নিয়ে কাজ করছে। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিটি উদ্যোগই প্রবৃদ্ধি ও সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করে।
কিন্তু এসব উদ্যোগও শুল্ক-সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা দূর করতে পারছে না, এবং আমাদের সেই কল্পিত বস্ত্র প্রস্তুতকারক উদ্যোক্তাকে কোন সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিতে পারছে না।
ছাবেদ সাথী: যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক। সম্পাদক বাংলা প্রেস
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি/এসএম