আবু সাবেত: সুপ্রিম কোর্ট এক ব্যক্তিকে ভুলভাবে এল সালভাদরের একটি কারাগারে নির্বাসন দেওয়ার ঘটনায় তাকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিলেও, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন এবং কিলমার অ্যাব্রেগো গার্সিয়ার আইনজীবীরা ভিন্ন ব্যাখ্যায় নিজেদের জয় দাবি করেছে।
আদালতের রায় অনুযায়ী, গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের ‘সহযোগিতা’ দরকার হলেও, বিচারপতির ক্ষমতা সীমিত—তিনি সরাসরি তা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। এই সীমাবদ্ধতাকে ব্যবহার করে ট্রাম্প প্রশাসন এখনো গার্সিয়াকে ফেরত আনার জন্য দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
ন্যায়বিচারের পক্ষ থেকে আইনজীবী সায়মন স্যান্ডোভাল-মোশেনবার্গ বলেন, ‘আইনের শাসন বিজয়ী হয়েছে। এখন আর সময় নষ্ট না করে কিলমারকে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, আদালত রায়ে প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনার একচ্ছত্র ক্ষমতার স্বীকৃতি দিয়েছে। জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলে, ‘এই রায় আবারও প্রমাণ করে যে, অ্যাকটিভিস্ট বিচারপতিদের প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার এখতিয়ার নেই।’
কিন্তু জেলা বিচারপতি পাউলা জিনিসের মতে, প্রশাসনের অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু জানতে চাচ্ছি, একজন মানুষ কোথায় আছেন। এটা কোনো রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য না।’
এই ইস্যু সামনে আসে এমন এক সময়ে, যখন এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে হোয়াইট হাউসে আসছেন। গার্সিয়ার পরিবার বলেছে, তিনি কোনো গ্যাং সদস্য নন বরং কিশোর বয়সে গ্যাং-হিংসা থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন একে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু বলে তুলে ধরছে এবং গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে। এদিকে, কংগ্রেসনাল হিস্পানিক ককাস বুকেলেকে চিঠি লিখে গার্সিয়ার মুক্তি ও কারাগারে দেখা করার অনুমতি চেয়েছে।
আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, সরকার আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সময়ক্ষেপণ করছে এবং গার্সিয়ার জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তাকে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত মাত্র ৭২ ঘণ্টায় কার্যকর করা হয়েছিল, অথচ তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য তারা সপ্তাহের পর সপ্তাহ সময় নিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তারা।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি।এসএম