সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের হাওরা অঞ্চল শাল্লা উপজেলায় হীরা ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাঁসি। মঙ্গলবার সকালে শাল্লা উপজেলায় বিভিন্ন হাওরে হীরা ধান কাটা শুরু হয়েছে।
চলতি বোর মৌসুমে শাল্লা উপজেলার প্রতিটি হাওড়ে হাইব্রিড হীরা ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে সরজমিনে গিয়ে জানাযায়। অনান্য হাইব্রিড ধানের তুলনায় রোগ বালাই মুক্ত হওয়ায় হীরা -৯ জাতের ফলন খুব বেশী হওয়ায় কৃষকেরা খুবেই খুশী, তাদের মুখে হাঁসি। শাল্লা উপজেলার শাউধেরশ্রী গ্রামের কৃষক সুপ্রজিৎ দাসের হীরা -৯ এর জমিতে মিনি মাঠ দিবস আয়োজন করা হয়।
উক্ত মিনি মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন সুখদেব দাস। সভা পরিচালনা করেন সিনিয়র সেলস অফিসার সুমন মাহিস্য দাস। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সুপ্রীম সীড কোম্পানির সিলেট বিভাগের জোনাল ম্যানেজার মাসুদ আলম। বক্তব্য রাখেন কৃষক সুপ্রজিত দাস, সুবদেব দাস, বলাই দাস, মিতাংশু দাস প্রমুখ।
কৃষক সুপ্রজিত দাস বলেন, এই বছর হীরা -৯, হীরা- ৬ ও হীরা – ১৯ জাতের ধানের ৩৫ বিঘা জমি আবাদ করি। সুপ্রীম সীড কোম্পানির হীরা ধানের ফলনে আমরা অনেক খুশী। অফিসার সুমন মাহিস্য দাস বলেন শাল্লা উপজেলার ৬ টি হাওড়ে এবার সুপ্রীম সীড কোম্পানির হীরা -৯ ধান বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। রোগ ও পোকা মাকড় এর আক্রমণ কম এবং উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় হীরা ধান চাষে কৃষকেরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। সুপ্রীম সীড কোম্পানির সিলেট বিভাগের জোনাল ম্যানেজার মাসুদ আলম বলেন, আমরা শুধু বীজ বিক্রি করে করি না কৃষকদের জমিতে বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে থাকি। বৈশাখ থেকে চৈত্র আমরা আছি কৃষকের ক্ষেতের আইলে।
সুপ্রীম সীড কোম্পানির শুধু হীরা -৯ সহ কোম্পানির প্রতিটি ধান যেমন হীরা -১ হীরা -২ হীরা -৬ হীরা -৯, হীরা -১৯ ও সুরভী -১ এর ফলন খুবেই ভালো হয়েছে এবং শুধু সুনামগঞ্জ নয় সমগ্র হাওড় অঞ্চল (সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জে) এবার হীরা ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে আমাদের কোম্পানির স্বার্থকতা তখন যখন কৃষকের মুখে হাসি ফুটে। এই ধান চাষের জনপ্রিয়তাবৃদ্ধি পেয়েছে।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি/কেজে