ইমা এলিস: ক্যালিফোর্নিয়ার এক ফেডারেল বিচারক মার্কিন বর্ডার প্যাট্রোলকে রাজ্যের পূর্বাঞ্চলে ওয়ারেন্ট ছাড়াই অভিবাসীদের আটকানো থেকে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। এই আদেশ জানুয়ারিতে কার্ন কাউন্টিতে পরিচালিত তিন দিনের এক অভিযানের পর আসে, যেখানে কৃষিশ্রমিক ও দিনমজুরদের রাস্তাঘাট, দোকানের সামনে ও পার্কিং লটে থামিয়ে আটক করা হয়।
বিচারক জেনিফার থার্স্টন বলেন, ‘আপনি শুধু গায়ের রঙ বাদামী দেখে কাউকে থামাতে পারেন না।’ আদালত জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের অভিযান চালাতে হলে এজেন্টদের যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ বা ওয়ারেন্ট থাকতে হবে।
এই মামলাটি করেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ), ইউনাইটেড ফার্ম ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পক্ষে। তারা অভিযোগ করেছে, এসব অভিযান যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী লঙ্ঘন করেছে, যা অযৌক্তিক তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।
সরকার দাবি করে অভিযানে শুধু অপরাধী বা অভিবাসন-ইতিহাস সম্পন্নদের লক্ষ্য করা হয়েছিল, কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে ৭৮ জনের মধ্যে ৭৭ জনের সম্পর্কে কোনো পূর্ব তথ্যই ছিল না। আরও অভিযোগ উঠে, এজেন্টরা টায়ার কাটে, গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে দেয় এবং গালিগালাজ করে।
বিচারক থার্স্টন বলেন, এসব আচরণ বিচ্ছিন্ন নয় বরং বিস্তৃতভাবে ঘটেছে। তিনি এজেন্টদের চতুর্থ সংশোধনী নিয়ে নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সরকারি যুক্তিও নাকচ করে দেন।
আদেশে বলা হয়েছে, এল সেন্ট্রো সেক্টরকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে যে অভিযানে অংশ নেওয়া এজেন্টরা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন, এবং প্রতি ৩০ দিন অন্তর এই অগ্রগতি জানাতে হবে।
এসিএলইউ’র এক আইনজীবী বলেন, ‘এই রায় মনে করিয়ে দেয়, গায়ের রঙের কারণে কাউকে আটকানো যায় না। এটা আইনবিরুদ্ধ।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি।এসএম