মিনারা হেলেন: যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য পাসপোর্ট নবায়ন সাধারণত সহজ হলেও, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংস্থা (আই আরএস)-এর কাছে ৬২ হাজার ডলারের বেশি করবকেয়া থাকলে সমস্যায় পড়তে পারেন। আইআরএস এই ঋণকে ‘গুরুতর বকেয়া’ হিসেবে চিহ্নিত করলে পররাষ্ট্র দপ্তর পাসপোর্ট নবায়ন বা নতুন পাসপোর্ট দেওয়ার আবেদন বাতিল করে দিতে পারে। এমনকি বিদ্যমান পাসপোর্টও বাতিল হতে পারে।
যাঁরা বকেয়া ঋণসহ বিদেশে আছেন, তাঁদের কেবল যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার জন্য সীমিত বৈধতার পাসপোর্ট দেওয়া হতে পারে। এ ধরনের করবকেয়ার মধ্যে রয়েছে আয়কর, ব্যবসায়িক কর, জরিমানা ইত্যাদি। সমাধান হলো পুরো ঋণ পরিশোধ অথবা আইআরএস-এর সঙ্গে কিস্তিভিত্তিক চুক্তিতে যাওয়া। পাসপোর্ট প্রত্যাখ্যানের চিঠি পাওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
বর্তমানে ‘গুরুতর বকেয়া’ করঋণের সীমা ধরা হয়েছে ৬২ হাজার ডলার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নীতিমালা ও মুদ্রাস্ফীতির ভিত্তিতে এই সীমা পরিবর্তন হয়েছে। আপনার বকেয়া যদি এই পরিমাণে পৌঁছে যায় বা তা অতিক্রম করে, তাহলে আইআরএস পররাষ্ট্র দপ্তরকে তা জানাতে পারে, এবং এর ফলে আপনার পাসপোর্ট আবেদন বাতিল হতে পারে কিংবা আপনার বিদ্যমান পাসপোর্টও বাতিল করে দেওয়া হতে পারে। এই নীতিটি করপরিশোধের গুরুত্বকে সামনে এনে দেয়।
যদি কেউ এই ধরনের চিহ্নিত ঋণ নিয়ে বিদেশে অবস্থান করেন, তাহলে পররাষ্ট্র দপ্তর তাকে ‘সীমিত বৈধতা সম্পন্ন’ পাসপোর্ট ইস্যু করতে পারে। এই ধরনের পাসপোর্ট কেবল যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার সুবিধার জন্য দেওয়া হয়। এটি একটি সাময়িক ব্যবস্থা, যা কর-সম্পর্কিত সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান করার গুরুত্বকে তুলে ধরে, যাতে ভ্রমণে বিঘ্ন না ঘটে।
আইআরএস যেসব করঋণকে চিহ্নিত করে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত আয়কর, ট্রাস্ট ফান্ড পুনরুদ্ধার জরিমানা, ব্যবসায়িক কর (যার দায় আপনি ব্যক্তিগতভাবে বহন করেন), এবং অন্যান্য বেসামরিক জরিমানা। এই বিভাগগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরি, কারণ এগুলো মিলিয়ে মোট ঋণ ‘গুরুতর বকেয়া’র সীমা অতিক্রম করতে পারে।
এই সমস্যার সমাধান ও পাসপোর্ট নবায়নের পথ সুগম করতে সবচেয়ে সরল উপায় হলো সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করা। তবে যদি তাৎক্ষণিকভাবে এই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব না হয়, তাহলে আইআরএস-এর সঙ্গে একটি কিস্তি ভিত্তিক পরিশোধ চুক্তি করার চিন্তা করুন। এই ধরনের সক্রিয় পদক্ষেপ ভবিষ্যতের জটিলতা প্রতিরোধ করতে পারে এবং আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনাকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।
যদি আপনি পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাসপোর্ট প্রত্যাখ্যানের চিঠি পান, তাহলে আপনার কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৯০ দিনের সময় থাকে। এই সময়ের মধ্যে আপনি ঋণ পরিশোধ করতে পারেন, সন্তোষজনক একটি পরিশোধ পরিকল্পনা করতে পারেন, অথবা যদি চিহ্নিতকরণে কোনো ভুল হয়ে থাকে, তা সংশোধনের উদ্যোগ নিতে পারেন।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি।এসএম