বাংলাপ্রেস অনলাইন: টাকা তুলতে গিয়ে এটিএমের সামনে থেকে অনেকেই ফিরে আসতে হয়েছে এ অভিজ্ঞতা কম বেশি সকলেরই হয়েছে। অসমের তিনসুকিয়াতেও এটিএমে গিয়ে একই অবস্থা হচ্ছিল গ্রাহকদের। সকলেই ভেবেছিলেন মেশিনে টাকা নেই।
কিন্তু কর্তৃপক্ষ জানত, ট্রেলার মেশিনে যথেষ্ট টাকা আছে। তাও টাকা বেরচ্ছে না কেন? খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। নোট যে সব কুচিকুচি করে কেটেছে ইঁদুর বাবাজি। প্রায় ১২ লক্ষ টাকা চিবিয়েই সাবাড় করেছে গণেশের বাহনরা।
তিনসুকিয়ার লাইপুলি মূলত আর্মি ক্যান্টনমেন্ট এলাকা। ঘন জনবসতি বলতে যা বোঝায় তা এখানে নেই। ফলে অল্পসংখ্যক লোকই এই এটিএম ব্যবহার করেন। গত ১৯ মে কর্তৃপক্ষের তরফে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার নোট ভরে দেওয়া হয় ওই মেশিনে। একটি বেসরকারি সংস্থাই সে কাজ করে। কিন্তু পরদিন থেকেই মানুষের অসুবিধা শুরু হয়। একটা সময়ের পর কিছুতেই কেউ আর টাকা তুলতে পারছিলেন না। একাধিক অভিযোগ জমা হচ্ছিল এই নিয়ে। পর্যাপ্ত টাকা থাকা সত্ত্বেও কেন মানুষ টাকা পাচ্ছেন না, তা নিয়ে চিন্তিত হয় কর্তৃপক্ষ। শেষমেশ জুন মাসের মাঝামাঝি মেশিন খুলে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর তাতেই যা দেখা গেল তাতে চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা। দেখা গেল, নোট সব কুচিকুচি করে কেটেছে বেশ কয়েকটা ইঁদুরছানা।
৫০০ ও ২০০০ টাকার যে পরিমাণ নোট কুচিকুচি হয়ে পড়ে আছে, তার অঙ্ক মোটামুটি ১২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। অর্থাৎ এই অঙ্কের টাকা স্রেফ চিবিয়েই নষ্ট করেছে গণেশের বাহন। কোনওভাবে মেশিনের ভিতরে ঢুকে পড়তে পেরেছিল ইঁদুরটি। তাতেই এই অবস্থা। কিন্তু এখন কী করণীয়? প্রায় দিশেহারা কর্তৃপক্ষ। আপাতত একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্তও করবে বলেও জানা গিয়েছে।
বাংলাপ্রেস/ আর এল