বাংলাপ্রেস অনলাইন: শেষ মুহূর্তের প্রচারে সরব হয়ে উঠেছে গাজীপুর সিটি। শেষ সময়ে নগরীর প্রতিটি অলিগলি, পাড়া-মহল্লায় প্রচারণার ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও সমর্থকরা। ভোটারদের মন আকর্ষণ করতে দিচ্ছেন উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। আজ রোববার মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে প্রচার প্রচারণা।
রোববার সকালে নগরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, দ্বিতীয় দফায় তফসিল ঘোষণায় প্রার্থীরা প্রচারাভিযান চালানোর সময় পেয়েছেন মাত্র সাত দিন। তাই রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে অবিরাম প্রচারাভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এদিকে যারা নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা নয় বা ভোটার নয় তাদের ২৩ জুন দিবাগত রাত ১২টার আগেই নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করতে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশন থেকে। এছাড়া দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২৭ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
আগামীকাল সোমবার থেকে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২৬ জুন দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সিক্যাব, বেবি ট্যাক্সি, অটোরিকশা, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এছাড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৯ জুন হতে ৩ জুলাই পর্যন্ত সকল আগ্নেয়াস্ত্র মালিকদের অস্ত্র বহন অথবা অস্ত্রসহ চলাফেরা করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন জেলা প্রশাসক।
আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে এ সিটি নির্বাচন। এ নির্বাচনের মধ্য ২য় বারের মতো নির্ধারিত হবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীসহ ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৮৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গাজীপুর সিটিতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১। তবে সবার দৃষ্টি প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত দুই মেয়র প্রার্থীর দিকে।
এদিকে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নাশকতা ঠেকাতে রোববার সকাল থেকে ২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্লাটুনগুলো ২৭ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানিয়েছেন, নির্বাচনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে যথা সময়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৫৭ ওয়ার্ডে ৫৭ টিম র্যাব সদস্য একটি টিম রিজার্ভ এবং প্রতি ২ ওয়ার্ডের এক প্লাটুনসহ মোট ৩০ প্লাটুন বিজিবি এবং ১০ হাজার ০২৪ জন আনসার ও পুলিশ বাহিনী নির্বাচনে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
বাংলাপ্রেস/ আর এল