বাংলাপ্রেস ঢাকা: সৌদি আরবের নারীরা এখন থেকে গাড়ি চালানোর আনুষ্ঠানিক বৈধতা পেয়েছে। দশকের পর দশক ধরে সেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই ঘোষণা আসে প্রথমবারের মত গত বছরের সেপ্টেম্বরে। আর এই মাসের শুরুর দিকে মেয়েদের প্রথম লাইসেন্স দেয়া হয়। বিবিসির খবরে বলা হয়, সৌদি আরব ছিল একমাত্র দেশ যেখানে মেয়েদের গাড়ি চালানো নিষেধ ছিল।
গাড়ি চালানোর জন্য গাড়ির মালিকদের ব্যক্তিগত চালক রাখতে হত। তবে এই নিষেধাজ্ঞা একদিনে বাতিল হয়নি। দেশটিতে অ্যাকটিভিস্টদের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে,তাদেরকে আবার ধর-পাকড় করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে অন্তত আটজন নারী অ্যাকটিভিস্টকে আটক করা হয়েছে যারা কাউন্টার টেররিজম কোর্টে বিচারের সম্মুখীন হতে পারেন। তাদের দীর্ঘমেয়াদী জেল খাটার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এদিকে অ্যামনেস্টি মনে করছে, দেশটিতে মেয়েদের অধিকার রক্ষার ব্যাপারে আরো সংস্কার কাজ করা উচিত। ১৯৯০ সালে রিয়াদে গাড়ি চালানোর জন্য কয়েক ডজন নারীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে ২০০৮ থেকে ২০১১ এবং ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে অনেক নারীকেই দেখা গেছে তারা গাড়ি চালাচ্ছে এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করেছে। এদিকে আনুষ্ঠানিক এই সিদ্ধান্তের ফলে খুব শীগগিরই হাজার হাজার নারীকে রাস্তায় দেখা যাবে গাড়ি চালাতে। সৌদি আরবের টেলিভিশনের একজন প্রেজেন্টার সাবিকা আল দোসারি বলেছেন “প্রত্যেকটা সৌদি নারীর জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক সময়”। তিনি বলেছেন যখনই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয় তখন স্থানীয় সময় রাত নয়টায় তিনি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমে পরেন। দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের কাউন্সিল এই পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছে।
বাংলাপ্রেস/ আর এল