হার্টফোর্ড প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে বসবাসকারী চট্টগ্রামবাসীদের ঐতিহ্যবাহী প্রথম ‘মেজবান’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।গত শনিবার দুপুরে ব্রিজপোর্টের সীসাইড পার্কে মেজবান খেতে নেমেছিল প্রবাসীদের ঢল।স্থানীয় চট্টগ্রামবাসীদের আমন্ত্রণে পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের শতশত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও উক্ত মেজবানে অংশ নেন।
২০১৮ সালের মেজবান উদযাপন কমিটির অন্যতম সদস্য নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং জাসেদুল আলম জাহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্রিজপোর্ট সিটির মেয়র যোশেফ পিটার গানিম বিশেষ অতিথি সিটি কাউন্সিলম্যান আলফ্রেডো কাস্টিলো।
মেয়র যোশেফ পিটার গানিম তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশিদের আতিথিয়তা ও আমার প্রতি তাদের সমর্থন দেখে সত্যিই মুগ্ধ হলাম। মুলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। তারা মুলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে চাইলে আমার সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা থাকবে।
তিনি আরো বলেন, শুধু ব্রিজপোর্ট শহরেই নয়, কানেকটিকাটে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের যে কোনো সমস্যা ও প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন বলেও উল্লেখ করেন মেয়র যোশেফ পিটার গানিম।তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে প্রতি বছরই ‘আমাদের চট্টগ্রাম’ এর মেজবান এই ব্রিজপোর্ট শহরেই অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য আমি সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবো।
কানেকটিকাটের চট্টগ্রামবাসী কমিউনিটির নেতারা তাদের বক্তব্যে মেয়র যোশেফ পিটার গানিমকে আগামী নির্বাচনে তাঁকে সমর্থনসহ তহবিল সংগ্রহে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বক্তারা বলেন, সাতবারের নির্বাচিত মেয়র যোশেফ গানিম ষ্টেট গভর্ণরের জন্য একজন উপোযুক্ত প্রার্থী। তাই আগামী নির্বাচনে আমরা তাকে ষ্টেট গভর্ণর পদে প্রার্থী দেখতে চাই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পুর্নাঙ্গ সমর্থন ও সহযোগিতা থাকবে বলে উল্লেখ করেন কানেকটিকাটের চট্টগ্রামবাসী কমিউনিটির নেতারা। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্য বক্তব্য দেন সিটি কাউন্সিলম্যান আলফ্রেডো কাস্টিলো, নাজিম উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল আলম নুরু, মোহাম্মদ এ হাসেম, শফিউল আলম শফি, ফরিদুল আলম তারেক, আহমেদ হোসেন মুন্না ও আবুল কালাম প্রমুখ।এ সময় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন একেএম মেসবাহ উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসেন আহমেদ ও আলী আকবর বাপ্পী।
‘চলন যাই মেজ্জ্যান খাই’ এ শ্লোগানে অনুষ্ঠিত উক্ত মেজবান সফল করতে যারা সহযোগিতা করেছেন তারা হলেন-নুরুল আলম নুরু, নাজিম উদ্দিন, ফরিদ চৌধুরী তারেক, শফিউল আলম শফি, মোহাম্মদ সেলিম, আহমেদ হোসেন মুন্না, আবুল কালাম, জাবেদ শফি, কামাল উদ্দিন, চৌধুরী হোসেইন, মোহাম্মদ নুরুল আফছার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ এ হাসেম,
একেএম মেসবাহ উদ্দিন, আলী আকবর বাপ্পী, মোহাম্মদ আলমগীর, হোসেন আহমেদ, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ দিদার, জাসেদুল আলম জাহিদ, মোহাম্মদ শফি, জাফর আহমেদ ও জসিম রানা।
শেষ পর্বে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কাওয়াল আব্দুল কাদের, বাপ্পী সোম, কৌশলী ইমা, রাশিদা আখন্দ লাকী ও রুপা আলমগীর।