বাংলাপ্রেস অনলাইন: নাশকতার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মিজানুর রহমান মিজানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলায় অপর তিন আসামিকে একদিন করে রিমান্ডে নিতে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আসামিরা হলেন, শফিকুল ইসলাম, মো. জিন্নাত ও মো. আসাদ আলী। বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল হক এই আদেশ দেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি মো. জুনায়েদ হোসেন জয়কে (১৬) অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে কিশোর আদালত। তাকে টঙ্গীর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি নেতা মেজর (অব.) মিজানুর রহমান মিজানকে আটক করা হয়। সোমবার গাজীপুর সিটি করাপোরেশন নির্বাচনের দিন সকালে বাকি চারজনকে আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে সিটি নির্বাচনে নাশকতার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ এনে ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম ধানমন্ডি মডেল থানায় এ মামলা করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মিজানুর রহমান মিজানসহ পাঁচজনকে বুধবার আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও গাজী শাহ আলম শুনানিতে রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক তা খারিজ করে চারজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিরা গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কিছু মানুষকে একত্রিত করার ষড়যন্ত্র করছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল, ওই লোকগুলো বুকে নৌকা প্রতীকের ব্যাচ লাগিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ব্যালট পেপার দখল করে নৌকা প্রতীকে ভোট দেবে। গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হবে।
এ সংক্রান্ত একটি অডিওতে দুইজনকে গাজীপুরের ভোট নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। সেখানে তিনি নির্বাচনের দিন গাজীপুরের কাশিমপুর ইউনিয়নের তিন ভোটকেন্দ্রে ‘আওয়ামী লীগের ব্যাজ ও নৌকার ব্যানার’ নিয়ে ঘুরতে পারবে এরকম তিনজন ছেলে ‘ম্যানেজ’ করতে বলেন। এটি সোস্যালমিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
বাংলাপ্রেস/ আর এল