বাংলাপ্রেস অনলাইন: পদ্মা সেতুর চতুর্থ স্প্যান বসানোর ২৯ দিন পরেই বসানো হলো পঞ্চম স্প্যানটি। আর এরই মধ্যদিয়ে দৃশশ্যমান হলো স্পপ্নের পদ্মা সেতুর ৭৫০ মিটার। ফলে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্ন এখন দ্রুত বাস্তবতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮ টায় স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়ে চুড়ান্তভাবে দুপুর ১ টায় শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের নাওডোবায় সেতুর ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর সুপার স্ট্রাকচারের পঞ্চম স্প্যানটি বসানো হয়। স্প্যান বসানোর কাজ প্রত্যক্ষ করতে নাওডোবা প্রান্তে ভীড় জমায় শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও ফরিদপুর সহ আশপাশের জেলার উৎসুক মানুষ।
দর্শনার্থী মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার পাচচর গ্রামের বৃদ্ধ হুকুম আলী জানান, ‘পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের বিষয়ে নানা গুঞ্জন শুনে আসছিলাম। গত কাল টিভিতে খবর দেখে জানতে পারলাম আজকে সকালে পদ্মা সেতুতে ৫ নাম্বার স্প্যান বসানো হবে। সকাল ৯ টা থেকে ৫ ঘন্টা অপেক্ষা করে স্প্যান বসানো দেখে এখন নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, শুধুই সময়ের অপেক্ষা।’
শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার জাজিরা পৌরসভার দর্শনার্থী মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারলাম। বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় থাকলে আমাদের বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের কোন উন্নয়ন কাজই হতোনা, হয়নি। আল্লাহ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখুক ও আবার ক্ষমতায় আনুক আমরা এই দোয়াই করি।
শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘পদ্মা সেতু শুধুমাত্র আমাদের দক্ষিণ-পশ্চিামাঞ্চলই নয় গোটা দেশটাকে এক সুতোয় গেঁথে দেবে। আর আমাদের শরীয়তপুর জেলা সহ আশপাশের জেলার ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।’
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে সার্বিক যোগাযোগ উন্নয়নের ফলে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন, শিল্পোন্নয়ন সহ নানা অর্থনৈতিক উন্নয়নে এগিয়ে যাবে গোটা দেশ। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নানা ষড়যন্ত্রের জাল বুনলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ইস্পাত কঠিন মনোবলের কাছে পরাজিত হয়েছে তাদের নোংরা খেলা। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ আগামীতেও এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। আর আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে কাংখিত লক্ষ্যে পৌছে যাব।
বাংলাপ্রেস/এফএস