বাংলাপ্রেস অনলাইন: ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ ঝুলছিল মাথার উপর। শোনা গিয়েছিল, বিয়ের আসরে পৌঁছে গিয়েছে পুলিশও। তবে শেষমেশ নতুন জীবন শুরু করতে বিশেষ অসুবিধা হল না মিঠুন চক্রবর্তীর অভিনেতা পুত্র মহাক্ষয়ের। বান্ধবী মদালসা শর্মার সঙ্গেই সাত পাকে বাঁধা পড়লেন তিনি।
মহাক্ষয় ওরফে মিমোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন হিন্দি ও ভোজপুরি সিনেমার এক অভিনেত্রী। ওই অভিনেত্রীর আইনজীবী রবি সোনি জানিয়েছিলেন, গত চার বছর ধরে মহাক্ষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই অভিনেত্রীর। সেই সম্পর্কেরই সুযোগ নিয়েছেন মিঠুন-পুত্র। পানীয়তে মাদক মিশিয়ে জোর করে মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। সেই কারণেই এতদিন ওই মহিলা মুখ খোলেননি। কিন্তু সঠিক সময় আসতেই ভোল পালটেছিলেন মহাক্ষয়। অন্য কাউকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতেই শুরু হয় সমস্যা। সবকিছুর পরও মিমোকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন অভিযোগকারিণী। কিন্তু মিমো ও তাঁর মা যোগিতা বালি এই সম্পর্ক মানতে চাননি। তাই ধর্ষণ, জোর করে গর্ভপাত ও হুমকির অভিযোগ আনা হয় চক্রবর্তী পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের কারণে একবার বিয়ে ভেস্তেও যায় মহাক্ষয়ের। শোনা গিয়েছিল, বিয়ের আসরে পুলিশ পৌঁছাতে পাত্রীই বেঁকে বসেছিলেন। কিন্তু শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মদালসার সঙ্গেই বিয়ে হয়েছে মহাক্ষয়ের।
জানা যাচ্ছে, জামিনের জন্য আগেই আবেদন জানিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তারির কোনও খবর নেই। তবে মিঠুনের হোটেলেই গোপনে মদালসার সঙ্গে মহাক্ষয়ের বিয়ে হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। পারিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তিই উপস্থিত ছিলেন বিয়েতে। মাসখানেক আগেই বাগদান পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। তারপরেই নানারকম বিপত্তি এসে হাজির হয়। তবে এর মধ্যেই তাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে বলেও শোনা গিয়েছে।
বাংলাপ্রেস/আর এল