বাংলাপ্রেস অনলাইন : সীমান্ত সম্মেলনে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে ইয়াবা পাচার বন্ধে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। ঢাকার পিলখানায় বিজিবির সদর দপ্তরে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর চার দিনের সম্মেলন শেষে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
বাংলাদেশে বর্তমানে মাদকের মধ্যে ইয়াবা ট্যাবলেটের কথাই সবার আগে আসে। এই ইয়াবা আসে মূলত মিয়ানমার থেকে। ইয়াবা পাচার বন্ধে মিয়ানমার সরকারের সহায়তা চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না বলে কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বিজিবি ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সম্মেলনে আলোচনায় মাদকদ্রব্য বিশেষ করে ইয়াবার ব্যাপকতা নিয়ে দুই পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মেলনে ইয়াবার ক্ষতিকর প্রভাবের কথা উল্লেখ করে সবধরনের মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে পরস্পরকে সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে সম্মত হয়েছে বিজিবি ও বিজিপি। মিয়ানমারের পক্ষ হতে বৈঠকে অবহিত করা হয় যে, তাদের দেশেও একই সমস্যা বিরাজ করছে এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সীমান্তে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের পক্ষে সম্মেলনে নেতৃত্ব দেন। বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনিছুর রহমান বাংলাদেশের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন। সম্মেলনে সীমান্তে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির বিষয় উল্লেখপূর্বক সম্প্রতি মিয়ানমারের নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রমসহ সীমান্তে গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিজিবির পক্ষ হতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে সীমান্তের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় এধরনের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাপ্রেস/এফএস