বাংলাপ্রেস অনলাইন: বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রবিউল হুসাইন জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত স্বর্ণ হেরফের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই’ দেশের একটি জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে যথাযথ নয়।’
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রবিউল হুসাইন এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে স্বর্ণ চুরির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ওই সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, জমা রাখা হয়েছিল তিন কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার চাকতি ও আংটি, তা হয়ে আছে মিশ্র বা সংকর ধাতু। ২২ ক্যারেট সোনা, হয়ে আছে ১৮ ক্যারেট।
রবিউল হুসাইন বলেন, ‘শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরের নিজস্ব রিপোর্টের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো সম্পর্ক নেই। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মেশিনের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মেশিনের মাপের পার্থক্য হয়। এই মেশিন নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।’
রবিউল হুসাইন আরো বলেন, ‘শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যে কর্মকর্তা এটি জমা রেখেছিলেন উনি একটি প্রত্যয়নপত্র আমাদের দিয়েছেন যে কালো প্রলেপযুক্ত যে স্বর্ণের চাকতি এবং রিং তা যথাযথ আছে; উনি যেভাবে রেখেছিলেন, যেমনটি রেখেছিলেন। তা লিখিত প্রত্যয়নপত্রে আমাদের জানিয়েছেন। ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রবিউল বলেন, ‘২২ ক্যারেট সোনা হয়ে গেল ১৮ ক্যারেট। প্রতিবেদনে এটাও বলা হয়েছে। এটাও আসলে যথাযথ নয়।’ যেসব স্বর্ণ নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যাচাই করার আবেদন করা হয়েছে বলে জানান রবিউল হুসাইন। ওই সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনেই ওই অনিয়মের তথ্য উঠে আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ পরীক্ষা করে বেশিরভাগের ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়ে।
বাংলাপ্রেস/আর এল