Home Uncategorized সোনা ঠিক আছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

সোনা ঠিক আছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

by Dhaka Office
A+A-
Reset

বাংলাপ্রেস অনলাইন : বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা সোনা ‘ঠিক আছে এবং ঘরেই আছে’ বলে আশ্বস্ত করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের রক্ষিত সোনা বদলে যাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা অর্থমন্ত্রী দেশে ফিরলে ‘আইনানুগভাবে’ খতিয়ে দেখা হবে, যাতে সামান্যতম সংশয় বা সন্দেহও দূরীভূত হয়। ওই সোনা নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপটে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে এক বৈঠকের পর অর্থ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শহিদুল ইসলাম এবং এনবিআর সদস্য কলিপদ হালদারও সচিবালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওই ঘটনাকে মোটেও ‘ছোট করে’ দেখা হচ্ছে না, কারণ সামান্য ফাঁক দিয়েও বড় সমস্যা হয়ে যেতে পারে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক অনুসন্ধানের তথ্যের ভিত্তিতে দৈনিক প্রথম আলোতে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সংবাদ প্রতিবেদনে ভল্টের সোনা নিয়ে অভিযোগটি সামনে আসে।

‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ৯৬৩ কেজি সোনা পরীক্ষা করে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়েছে। জমা দেওয়ার সময় যা ৮০ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা হিসেবে গ্রহণ করে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, দুই বছর পর তা পরীক্ষা করে ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ সোনা পাওয়া গেছে। আর ২২ ক্যারেটের সোনা হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এক বছরের বেশি সময় অনুসন্ধান করে তারা ওই অনিয়ম পেয়েছেন। বিষয়টি এনবিআরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে, যাতে তারা অনিয়মে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে পারে। কিন্তু মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রবিউল হোসেন এবং ভল্টের দায়িত্বে থাকা কারেন্সি অফিসার আওলাদ হোসেন চৌধুরী দাবি করেন, ভল্টে রক্ষিত সোনায় কোনো ধরনের হেরফের হয়নি; শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ যেভাবে রেখেছিল, সেভাবেই আছে।

আওলাদ বলেন, শুল্ক গোয়েন্দারা আমাদের সোনা দেওয়ার সময় তা ২২ ক্যারেট বললেও আমরা পরিমাপ করে পাই ১৮ ক্যারেট।… আমাদের তালিকাভুক্ত স্বর্ণকার কষ্টিপাথর দিয়ে সোনার মান যাচাই করেছেন। সেই সনদ অনুযায়ী সোনা ছিল ১৮ ক্যারেটের। আওলাদ বলছেন, ক্যারেটের ওই গড়মিলের বিষয়টি তারা চিঠি দিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকে জানিয়েছিলেন। সেখানে আণবিক শক্তি কমিশনের মত তৃতীয় কোনো পক্ষকে দিয়ে ওই সোনার মান যাচাই করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি না হয়ে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ তখন বিষয়টি ‘মেনে নিয়েছিল’।

আর শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দেওয়া সোনা জমা রাখার সময় খাঁটি সোনা ৪০ শতাংশই ছিল দাবি করে তিনি বলেন, কিন্তু ইংরেজি বাংলার হেরফেরে সেটা ৮০ শতাংশ লিখে ভুলবশত নথিভুক্ত করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত শখ জুয়েলার্সের স্বর্ণকার এই ভুলটি করেছিলেন।

বুধবার সকালের বৈঠকের পর অর্থ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, পত্রিকায় ওই খবর দেখে প্রথমে তিনি আঁতকে উঠেছিলেন। তিনি বলেন, এ সম্পর্কে যেভাবে খবরের কাগজে এসেছে এটা ভয়াবহ ব্যাপার মনে হয়েছে আমার কাছে। আমি সারাদিন… যেহেতু আমার জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী দেশে নেই, আমার যতটুকু সম্ভব বিভিন্ন জায়গায় কথাবার্তা বলেছি এবং তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংক সংবাদ সম্মেলন করে তাদের ব্যাখ্যা দেওয়ার পর সেই উদ্বেগ প্রশমিত হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাপ্রেস/এফএস

You may also like

Leave a Comment

banglapress24

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

১১১ শেলডন রোড # ১৮৮৪, ম্যানচেস্টার, কানেকটিকাট ০৬০৪২

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৫ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী