নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত আইয়ুব আলীর ছেলে-মেয়েরাও ৫ মাস আগে একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মারজরি স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুলে পার্কল্যান্ডের গুলিবিনিময়ের সময় আইয়ুব আলীর ছেলে-মেয়ে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যায়।গত মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টায় ফ্লোরিডার নর্থ লডারডেল সিটিতে নিজ দোকানে কর্মরত অবস্থায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন আইয়ুব আলী (৬১)।
আইয়ুব আলীর আত্মীয় মীর্জা মোস্তাক জানান, আইয়ুব অত্যন্ত নম্র ও ভদ্র স্বভাবের মানুষ।সে ছিল আমার ছোট ভাইয়ের মতো। বাংলাদেশে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার নানোপুর গ্রামে গ্রামে আমাদের বাড়ি। তার এ দুর্ঘটনার জন্য আমরা সকলেই মর্মাহত ও শোকাহত হয়ে পড়েছি।
নর্থ লডারডেল সিটির সাউথ ষ্ট্রিটে নিজের দোকান আন্ট মলি’জ ফুড স্টোরে কর্মরত ছিলেন।হঠাৎ দুর্বৃত্তরা দোকানে প্রবেশ করে কোন কিছু না বলেই তার মাথায় গুলি করে। পরে দোকানের খরিদ্দার পুলিশে খবর দিলে তারা এসে আইয়ুব আলীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় ব্রাউয়ার্ড হেল্থ মেডিকেল সেন্টারে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নর্থ লডারডেল সিটি ব্রোয়ার্ড শেরিফ অফিস ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
১৯৯৪ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন আইয়ুব আলী।গত ১০ বছর আগে নর্থ লডারডেল সিটির সাউথ ষ্ট্রিটে এই দোকান কিনে সেখানেই ব্যবসা করে আসছেন। গত বছর পার্কল্যান্ড এলাকায় একটি বাড়িও কিনেছেন আইয়ুব। তিন মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী ফারহানাকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন তিনি। আইয়ুব ফ্লোরিডা ষ্টেট আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।