বাংলাপ্রেস অনলাইন : কুষ্টিয়ায় গিয়ে বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছেন আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন মাহমুদুর রহমান ও তার সঙ্গীরা। তবে পুলিশ হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিককে কটূক্তির অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষারের করা মামলায় জামিন নিতে রোববার ওই জেলার আদালতে গিয়েছিলেন মাহমুদুর। বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ার মুখ্য বিচারিক হাকিম এম এম মোর্শেদের আদালতে জামিন পাওয়ার পর বের হওয়ার সময় বাইরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিলে আদালত চত্বরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর সেখানে আটকা থাকেন তিনি। বিকালে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পুলিশ পাহারায় আদালত চত্বর ছাড়তে দেখা যায়।
মাহমুদুরের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বেলা সাড়ে ৪টার দিকে তিনি বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার গাড়িও ভাংচুর করা হয় বলে জানান তিনি।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, বেলা সাড়ে ৪টার দিকে তিনি সেখান থেকে বের হয়ে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় কে বা কারা গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় ভাঙা কাচ লেগে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আদালত চত্বর থেকে নিরাপদে বের করে দেয় বলে জানান তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাহমুদুরের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য মামলা রয়েছে। তিনি আদালত অবমাননার মামলায় সাজাও খেটেছেন। গত বছরের ১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী ও তার ভাগ্নিকে কটূক্তির অভিযোগে ১০ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার ছাত্রলীগ নেতা মামলাটি করেন।
আদালতের এপিপি সাজ্জাদ হোসেন সেনা জানান, মাহমুদুর এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। রোববার স্থায়ী জামিনের জন্য নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
বাংলাপ্রেস /এফএস