এম আর আলী টুটুল, সৈয়দপুর (নীলফামার) প্রতিনিধিঃ সৈয়দপুর ভূমি অফিস থেকে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত হাশেম আলী নামের এক ব্যক্তির বরাদ্দকৃত সরকারী সম্পত্তি দখল নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন ওই অফিসের ড্রাইভার নুরে আলম সিদ্দিকী। ২৩ জুলাই ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শহরের নয়াটোলা ডি আই বি রোড এলাকায় এ নিয়ে শহর ব্যাপি চলছে আলোচনা ও সমলোচনার ঝড়।
এলাকাবাসী ও প্রত্যেক্ষ দোষীরা জানায়, হাশেম আলী নামের ব্যক্তিটি প্রায় ৩০ বছর সৈয়দপুর ভূমি অফিসে কর্মরর্ত ছিলেন। কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি শহরের নয়াটোলা ডিআইবি রোড এলাকায় একটি সরকারী সম্পত্তি জেলা প্রশাসক মারফত বরাদ্দ নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। গত ২৩ জুলাই ভোর রাতে তিনি দেখতে পান সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার ব্যবহৃত গাড়ী দাড় করিয়ে ড্রাইভার নুরে আলম সিদ্দিকীসহ তার বাহিনী বরাদ্দকৃত তার জমিতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে টিনের ঘর বাড়ী নির্মাণ করছেন। এ সময় স্থানীয়রা জানতে চাইলে ড্রাইভার নূরে আলম জানান, এসিল্যান্ড পরিমল কুমার সরকারের নির্দেশে ওই জমিতে ঘরবাড়ী নির্মাণ হচ্ছে বলে তিনি জানান। তবে ওই ড্রাইভারের ভাই ময়নুল ইসলাম বলেন, শুধু এসিল্যান্ড নন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশেই ঘরবাড়ী নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি কাজী ময়নুল ইসলাম বলেন, সরকারী জমি বরাদ্দ দেওয়ার মালিক হল জেলা প্রশাসক। অথচ জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে কোন প্রকার বরাদ্দ বা নির্দেশনা না নিয়ে গায়ের জোরে ওই সম্পত্তিটি অন্যায়ভাবে দখল নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ও সহকারী ভূমি কর্মকর্তার গাড়ী দাড় করিয়ে ভোর রাত থেকে জমিটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা হল ক্ষমতার অপব্যবহার। ওই সম্পত্তিটি পূণরায় দখলের চেষ্টা চালানো হলে শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করার হুশিয়ারী সংকেত দেন তিনি।
দখলকৃত জমিতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে কথা বলতে গেলে সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় কেন্দ্রের প্রকৌশলী মাহফুজ আলম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই এবং অভিযোগ পেলে নুর আলমের বিরদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার বলেন, সরকারী ওই সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণ করার প্রক্রিয়া চলছে। তবে আজই জমিটি দখল করতে হবে এ নির্দেশনা ড্রাইভার নুরে আলমকে দেওয়া হয়নি বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বজলুর রশীদ বলেন, ওই স্থানে ভূমি সার্কেল অফিস হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ড্রাইভার নুর আলম সিদ্দিকীর পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল যাওয়ায় গুরুত্বর অপরাধ করেছেন। তবে তিনি বিদ্যুৎ মিটারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।
বাংলাপ্রেস/আর এল