Home Uncategorized বড়পুকুরিয়া খনির চার কর্মকর্তা বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা, ইমিগ্রেশনে দুদকের চিঠি

বড়পুকুরিয়া খনির চার কর্মকর্তা বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা, ইমিগ্রেশনে দুদকের চিঠি

by Dhaka Office
A+A-
Reset


বাংলাপ্রেস অনলাইন : বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ফৌজদারি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পেট্রোবাংলা। এছাড়া বড়পুকুরিয়া খনির সংশ্লিষ্ট চার কর্মকর্তা যেন বিদেশ যেতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে দুদক।

রাজধানীর তেজগাঁও থানায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ।

চেয়ারম্যান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা চুরি হয়েছে। তবে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। পেট্রোবাংলার তদন্ত দল বড়পুকুরিয়াতে সরেজমিনে আজ তদন্ত করছে বলেও তিনি জানান। কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করে কথা বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত দল।

দুদকের তদন্ত দল মঙ্গলবার দুপুরে পেট্রোবাংলায় এসে কয়লা উত্তোলন, ব্যবহার, বিক্রি, বার্ষিক হিসাবসহ বিভিন্ন নথি নিয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাও করেছে তারা। দুদকের উপ-পরিচালক শামসুল আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত দল পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শামসুল আলম বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। সকল বিষয় পর্যালোচনা শেষে ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেব।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পরিচালক (অপারেশন) এর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। এছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধেও পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী বড়পুকুরিয়া খনির মজুদাগারে তিন লাখ আট হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ ছিল। আর জুলাই মাসে ছিল এক লাখ ৪৭ হাজার টন। কিন্তু বাস্তবে মাত্র তিন হাজার টন কয়লা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, কয়লা উত্তোলন ও বিক্রির হিসাব অনুযায়ী কয়লা মজুদ থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা নেই। বড়পুকুরিয়া খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছিলেন, যে কয়লা মজুদ আছে তা দিয়ে ৫০ দিন বিদ্যুৎকেন্দ্র চলবে। কিন্তু পরে দেখা গেল সে পরিমাণ কয়লা উত্তোলন করা নেই। কয়লা খনি চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিক্রির পর কী পরিমাণ কয়লা জমা আছে, তার হিসাব রাখা হয়নি। বার্ষিক আয়-ব্যয় এবং কয়লা উত্তোলন ও বিক্রির হিসাব করা হয়েছে। নিরীক্ষা বিভাগ উদ্বৃত্তপত্রও অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু উত্তোলন করা কয়লার মজুদ আছে কি নেই তার হিসাব রাখা হয়নি। দিনের পর দিন হিসাব ছাড়া এভাবে কেমন করে চলল তারও তদন্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বাংলাপ্রেস/আর এল

You may also like

Leave a Comment

banglapress24

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৫ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী