গত বছর ফ্লোরিডার মায়ামির ফোবানা সম্মেলনে নৈশ্যভোজে মন্ত্রীর সঙ্গে মইন ইউ আহমেদ
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মায়ামিতে ৩১তম ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোশিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা) সম্মেলনে বিতর্কিত সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদকে আমন্ত্রণে বিতর্ক সৃষ্টির ফলে আওয়ামীলীগ সরকারের কোন মন্ত্রী এবারে আটলান্টায় শুরু হওয়া ফোবানা সম্মেলনে আসেনি।
গত বছর ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় মায়ামির হায়াত রিজেন্সি হোটেলে ফোবানা সম্মেলন উদ্বোধনের আগে কালো টাই (ব্লাক টাই) ডিনার নামের এক নৈশ্যভোজে বর্তমান সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিতর্কিত সেই সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ,ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে একই টেবিলে বসে প্রকাশ্যেই রাতের খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ভীষন অস্বস্তিবোধ করতে থাকেন। তিনি প্রায় সারাক্ষণই মুখ ফিরিয়েই ছিলেন। মইন ইউ আহমেদ উক্ত ফোবানা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকার কথা থাকলেও নৈশ্যভোজের পর বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মিদের প্রতিবাদের মুখে ফোবানা সম্মেলন ত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
জানা যায়, বিতর্কিত সেই সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ফ্লোরিডা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও মায়ামি ফোবানা সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়কারী আতিকুর রহমান। উক্ত ঘটনার পর তিনি ফোবানা কমিটির চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। কিছুদিন পরেই ফ্লোরিডা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এবারের ফোবানা সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ফোবানা সম্মেলনে আসেনি। এর কোন কারন ও ব্যাখ্যা করেননি সংশ্লিষ্ট ফোবানা কর্তৃপক্ষ। বর্তমান সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনকে বিপদে ফেলার জন্যই এক টেবিলে সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ বসিয়ে রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন ফ্লোরিডা আওয়ামীলীগের নেতারাই। এসবের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন মায়ামি ফোবানা সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়কারী আতিকুর রহমান। এসব ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ে কিছুদিন পরই আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানিয়েছে, বিদেশের মাটিতে এসে অপমানিত হওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে আমন্ত্রণ পেয়েও অনেক মন্ত্রী ও সচিবরা এবারের ফোবানা সম্মেলনে আসতে রাজি হননি।