বাংলাপ্রেস অনলাইন: শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে পিষে মারার ঘটনার মূল ঘাতক বাসচালককে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে আদালতকে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, ঘাতক চালককে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। গ্রেপ্তার জাবালে নূর পরিবহনের চার কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ৬ আগস্ট এই চার আসামির রিমান্ড শুনানির দিন ঠিক করেছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, গ্রেপ্তার এই চারজন জানেন, ঘাতক বাসচালক কে?
যদিও র্যাবের খুদে বার্তায় জানান হয়েছে, মূল ঘাতক মাসুম বিল্লাহকে তারা আটক করেছে। আর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, র্যাব তিন বাসের মোট চারজনকে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। মূল একজনকে এখনো হস্তান্তর করেনি।
আদালত সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার চার আসামিকে আজ আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। সেখানে বলা হয়, সেদিন জাবালে নূর পরিবহনের কয়েকটি বাসের চালক তাঁদের সহকারীদের উসকানিতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে আসছিল। আর শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বাসে ওঠার জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াদ আহমেদ আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়েছেন, জাবালে নূর পরিবহনের মূল ঘাতক বাসের চালককে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় না আনা গেলে পরিস্থিতি যেকোনো দিকে মোড় নিতে পারে। পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
গ্রেপ্তার চার আসামি হলেন এনায়েত হোসেন (৩৮), সোহাগ আলী (৩৫), রিপন হোসেন (৩২) ও জোবায়ের (৩৬)। এই চারজনের ব্যাপারে পুলিশ আদালতকে জানান, সেদিন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত বাসগুলোর মধ্যে চারজনের নাম জানার পর র্যাবের সহায়তায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মূল ঘাতক বাসচালক এখনো পলাতক।
২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনের বিপরীত পাশের জিল্লুর রহমান উড়ালসড়কের ঢালের সামনের রাস্তার ওপর জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাস রেষারেষি করতে গিয়ে একটি বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের ওপর উঠে পড়ে। এতে দুই শিক্ষার্থী নিহত ও নয়জন আহত হয়। নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬)। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
বাংলাপ্রেস/এফএস