বাংলাপ্রেস অনলাইন: বৃহস্পতিবার সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলগুলোতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে ‘সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ছাত্র আন্দোলন’।
রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কের যে স্থানে শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই ছাত্রছাত্রী নিহত হয়েছিল আজ বুধবার বিকেলে সে স্থান থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমের সামনে সাত দফা দাবির কথা তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো:
এক: বেপরোয়া ড্রাইভারকে অবিলম্বে ফাঁসি দিতে হবে ও ড্রাইভারদের সঙ্গে মালিক পক্ষকেও দুর্ঘটনার দায়ভার নিতে হবে;
দুই: এই শাস্তি অবিলম্বে সংবিধানে সংযোজন করতে হবে, সব ফিটনেসবিহীন গাড়ির রুট পারমিট অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
তিন: সড়কের প্রত্যেকটি মোড়ে মোড়ে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে, সিসি ক্যামেরার সুষ্ঠু তদারকি করতে হবে।
চার: সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সামনে স্পিডব্রেকার ও জেব্রা ক্রসিং রাখতে হবে।
পাঁচ: বিআরটিএর অধীনে সব চালক ও হেলপারকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে লাইসেন্স প্রদান করতে হবে, বিআরটিএকে সেনাবাহিনীর আওতাভুক্ত করতে হবে।
ছয়:শুধু ঢাকা নয় সারা দেশেই শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সাত: সর্বোচ্চ হাঁটার জন্য উপযুক্ত ফুটপাথ চাই।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘আমাদের আগামী কালকের যে কর্মসূচি, আমরা সব স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সুষ্ঠুভাবে কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়া মানববন্ধন করব। শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন হবে। কোনো ধরনের গাড়ি ভাঙচুর করব না আমরা। যত দিন পর্যন্ত আমাদের এই সাত দফা দাবি আদায় না হচ্ছে আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে ইনশা আল্লাহ।’
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম। এ ঘটনায় পুরো ঢাকা উত্তাল। টানা চতুর্থদিনের মতো আজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাপ্রেস/আর এল