এম আর আলী টুটুল, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের হামুরহাট এলাকার এক পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় কাকলী (২৬) নামের এক প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে মৃত্যের স্বামী স্থানীয় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিলে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের কাছারী নাউয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের স্ত্রী কাকুলীর প্রসব বেদনা উঠলে ওই ইউনিয়নের হামুরহাটের পল্লী চিকিৎসক জাহিনুর রহমানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় পরামর্শের জন্য। কিন্তু ওই চিকিৎসক পরামর্শ না দিয়ে তার চেম্বারেই কাকুলী বেগমের সন্তান প্রসবের চেষ্টা চালায়। এসময় প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয় প্রসুতির। এক সময় রক্ত শুন্য হয়ে ওই প্রসুতি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
মৃত্যের স্বামী আব্দুল লতিফ সহ এলাকাবাসী জানান, জাহিনুর নামের ব্যক্তিটি অভিজ্ঞ কোন ডাক্তার নন। একজন পল্লী চিকিৎসক তিনি। ডাক্তার না হয়েও প্রেসক্রিপশন করা, যৌন উত্তেজক একাধিক কোম্পানীর পানিয় বিক্রি করাসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করে আসছেন। গর্ভবতী কাকুলীকে প্রসবের পরামর্শ না দিয়ে নিজেই বাচ্চা প্রসবের চেষ্টা করেছেন।
এ নিয়ে স্থানীয় থানায় মামলা করার চেষ্টা করা হলে ওই চিকিৎসক মৃত্যের স্বামীকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। মৃত্যের লাশ উত্তোলন করে তদন্ত স্বাপেক্ষে ওই ভূয়া ডাক্তারের ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানায় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে গিয়ে ওই পল্লী চিকিৎসক জাহিনুর রহমান জানান, তিনি পল্লী চিকিৎসক হলেও তার কাছে অভিজ্ঞ ডাক্তারের কোন খাওয়াই নেই। চিকিৎসায় ভূল হতেই পারে। ভূলের কারণে কেউ মারা গেলে তার কিছুই করার নেই। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলেও তিনি তা তোয়াক্কা করেন না বলে মন্তব্য করেন।
বাংলাপ্রেস/আর এল