বাংলাপ্রেস অনলাইন: গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নতুন দেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিল ছাত্ররা। এখন আবার শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বাংলাদেশ জেগেছে। চলমান এ ছাত্র আন্দোলনে ষোলো আনা সমর্থনের কথাও জানলেন তিনি। একই সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নিয়ে পুলিশের ‘আন্দোলন দমনকে’ বেআইনি বলে উল্লেখ করেন।
কামাল হোসেন বলেন, সরকারের প্রতি ষোলো আনা অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, সেটা থেকে আগে মুক্ত হতে হবে। এ সরকার বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করলেও আচরণ করছে অতীতের স্বৈরাচারী সরকারের মতো। বর্তমান সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায় করতে হবে। এ কারণে স্বৈরাচারবিরোধী বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠনের ডাক দিয়েছে গণফোরাম।
বৃহত্তর ঐক্যে কারা থাকবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা মূলত জনগণের ঐক্য। নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে অন্য গণতান্ত্রিক দলগুলো একমত হলে তারাও আন্দোলনে যোগ দেবে।
নির্বাচন কমিশনকে ‘সাক্ষী গোপাল’ আখ্যা দিয়ে ড. কামাল বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগের। তাই এ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ কখনো নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ভয় পায়নি। অথচ এখন নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বৃহত্তর ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। ভিন্নমতের কাউকে সভা করতে দেওয়া হয় না। প্রধানমন্ত্রী দাবি মেনে নেওয়ার পরও কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, নিপীড়ন, আটকের ঘটনা ঘটেছে। স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের কাছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে গণফোরামের বর্ধিত সভার লিখিত আবেদন করেও অনুমতি পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাপ্রেস/এফএস