বাংলাপ্রেস অনলাইন: মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে বুধবার কয়েকশ কোটি ডলারের আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে নতুন অভিযোগ আনা হয়েছে। আর্থিক কেলিংকারিতে জড়িত থাকার অভিযোগের কারণে তার জনপ্রিয়তার ধস নামে এবং তিনি গত মে মাসের নির্বাচনে পরাজিত হন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কুয়ালালামপুরের একটি আদালতে হাজির করা হয়। এ সময়ে তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার সম্পর্কিত নতুন আরো তিনটি অভিযোগ আনা হয়। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। প্রতিটি অভিযোগের জন্য তার ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পাওে বলে জানা গেছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি/বাসস।
এর আগে গত মাসে গ্রেফতারের পর নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার সম্পর্কিত যেসব অভিযোগ আনা হয় সেসব অভিযোগের প্রত্যেকটির জন্যে তার ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তিনি সেসব অভিযোগের সবগুলোই অস্বীকার করেন। মালয়েশিয়ার নতুন সরকার তার বিরুদ্ধে আনা রাষ্ট্রীয় তহবিল ১এমডিবি থেকে শত কোটি মার্কিন ডলার অবৈধভাবে লুটের অভিযোগগুলোর তদন্ত করছে। এই তহবিলটি তিনিই দেখাশুনা করতেন। জনাকীর্ণ আদালত কক্ষে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত তিনটি নতুন অভিযোগ শোনানো হয়। এরপর তাকে এই অভিযোগগুলো বুঝেছেন কিনা তা জিজ্ঞাসা করা হয়। জবাবে নাজিব বলেন, ‘আমি বুঝেছি।’
প্রতিটি অভিযোগ এসআরসি ইন্টারন্যাশনাল সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি মূলত ১এমডিএম এর অধীনে একটি জ্বালানী কোম্পানি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক তদন্তে দেখা গেছে, কোম্পানিটি থেকে প্রায় এক কোটি মার্কিন ডলার নাজিবের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে পাচার করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে নাজিবের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে রহস্যজনকভাবে ৬৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার পাচার করা হয়েছিল, এটি তার একটি অংশ। অর্থ পাচারের ঘটনায় মালয়েশিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
বাংলাপ্রেস/এফএস