বাংলাপ্রেস অনলাইন: নিরাপদ সড়কের দাবিতে সড়ক অচল করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে যে ‘চাপ’ তৈরি হয়েছে, মানুষের সচেতনতা বাড়াতে তার ‘দরকার ছিল’ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জের ইকোরিয়ায় বিআরটিএ-এর পরিবহন তদারকির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন রাস্তায় বের হয়ে চেক করলে গাড়ির লাইসেন্স পাওয়া যায়। আন্দোলন হওয়ার পথে এসব বিষয়ের কারণে ছাত্রছাত্রীরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছে। তাদের ক্ষোভ থেকে আজকের এই আন্দোলন। তাদের ক্ষোভের কারণগুলো দূর করতে পারলে আর আন্দোলন হবে না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের কারণে এখন যেভাবে সচেতনতা গ্রো করেছে, এটাও কিন্তু ভয়ভীতির কারণ হয়েছে। মাঝে মাঝে এ ধরনের চাপ না এলে আসলে আমাদের সচেতনতা আসে না। এই চাপটার বড় প্রয়োজন ছিল।
গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। রাজধানী থেকে তাদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। নয় দফা দাবিতে এই আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা রাজপথে পুলিশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে চালকের লাইসেন্স ও যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করা শুরু করে। সেখানে দেখা যায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ও আইন প্রণেতারাও অনেক ক্ষেত্রে আইন মানছেন না।
এই প্রেক্ষাপটে ‘ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করুন; ট্রাফিক শৃঙ্খলা একটি জাতির সভ্যতার প্রতীক’- এই স্লোগান নিয়ে গত রোববার থেকে ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করছে পুলিশ। আর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরিএ বিভিন্ন স্থানে সড়কের অনিয়ম রুখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে।
বাংলাপ্রেস/এফএস