মিল্টন বিশ্বাস : চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার সুপারিশ করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ। চলতি বছর (২০১৮) ২৭ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির ২৯তম বৈঠকে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীতকরণ এবং অবসরের বয়স ৬৫ করার জন্য সুপারিশ করা হয়। উল্লেখ্য, নবম সংসদ নির্বাচনের সময় সরকার বয়স বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। সাধারণ ছাত্র পরিষদের ব্যানারে গত ৫ বছর যাবৎ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হচ্ছে। সংসদ, কেবিনেটসহ বিভিন্ন সময় এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। লেখা হয়েছে কলাম এবং মতামত সৃষ্টিতে তরুণসমাজ বেশ সক্রিয়। মনে রাখতে হবে এই তরুণসমাজের ভেতর প্রায় অর্ধ কোটি উচ্চশিক্ষিত ভোটার ও তাদের পরিবারসহ প্রায় ২ কোটি ভোট রয়েছে। এজন্য বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
২. কোটা সংস্কার আন্দোলনের পাশাপাশি ২০১৮ সালে পূর্ববর্তী বছরের মতোই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ঢাকা শহরে সমবেত হয়েছে তরুণরা। বিসিএস প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা শেষে কিংবা লিখিত পরীক্ষার পর তাদের জমায়েত করতে দেখা গেছে। আগেই উল্লেখ করেছি যে, গত ৫ বছর যাবৎ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের প্লাটফর্ম থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করার দাবি জানানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা পত্রিকা মারফতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর খোলা চিঠিও লিখেছে; রাজপথে মানববন্ধন করেছে এবং সংবাদপত্রে কলাম লিখে আবেদন-নিবেদন জানিয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ২০১৮ সালের আগে সরকারের দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তিকে প্রতিক্রিয়া জানাতেও দেখিনি। বাস্তবতা এরকম, যারা আইন তৈরি করেন অর্থাৎ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনা করেন তারা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সংসদ নির্বাচন করতে পারেন, তাদের বয়সের কোনো বাধা নেই অথচ আমাদের তরুণ ছাত্রসমাজকে ত্রিশের পর সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করে হতাশার অন্ধকারে ফেলে দেওয়া হয়। অন্যান্য দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার তথ্য-প্রমাণ এবং আমাদের দেশের শিক্ষা জীবনের বাস্তবতা বিবেচনায় আনলে ৩০ থেকে ৩৫-এ বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার যৌক্তিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়।
উন্নত বিশ্ব তাদের জনগণকে মানবসম্পদে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমা রেখা নির্দিষ্ট করে রাখেনি। পার্শ্ববর্তী দেশসহ ওইসব দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আমাদের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। কোনো কোনো দেশে অবসরের আগের দিন পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়েছে। যেমন- ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৪০, বিভিন্ন প্রদেশে বয়সসীমা ৩৮ থেকে ৪০ বছর, শ্রীলংকায় ৪৫, ইন্দোনেশিয়া ৩৫, ইতালি ৩৫ বছর কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩৮, ফ্রান্স ৪০, ফিলিপাইন, তুরস্ক ও সুইডেনে যথাক্রমে সর্বনিম্ন ১৮, ১৮ ও ১৬ এবং সর্বোচ্চ অবসরের আগের দিন পর্যন্ত, দক্ষিণ আফ্রিকায় চাকরি প্রার্থীদের বয়স বাংলাদেশের সরকারি চাকরির মত সীমাবদ্ধ নেই। অর্থাৎ চাকরি প্রার্থীদের বয়স ২১ হলে এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে যে কোনো বয়সে আবেদন করতে পারে। রাশিয়া, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য- এর মত দেশে যোগ্যতা থাকলে অবসরের আগের দিনও যে কেউ সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল গভর্নমেন্ট ও স্টেট গভর্নমেন্ট উভয় ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স কমপক্ষে ২০ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫৯ বছর। কানাডার ফেডারেল পাবলিক সার্ভিস এর ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে তবে ৬৫ বছরের উর্দ্ধে নয় এবং সিভিল সার্ভিসে সর্বনিম্ন ২০ বছর এবং সর্বোচ্চ ৬০ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যায়। এসব দেশে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মতো অতিরিক্ত সময় ব্যয়ের ঘটনা অনুপস্থিত। তবু তারা আমাদের মতো ত্রিশের কোটায় বয়স বেঁধে দেয়নি। আশ্চর্য হচ্ছে এদেশে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ বছর করার সকল বাস্তবতা থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কারো কোনো মাথা ব্যথা ছিল না। অবশ্য বিষয়টি একেবারে আলোচনায় আসেনি এটাও সত্য নয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ নবম জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার থাকাকালীন ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছরে উন্নীত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদে এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপিত হয় এবং অনেক সংসদ সদস্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার পক্ষে মতামত দেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একই বছর ২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ২১ তম বৈঠকে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার সুপারিশ করেছিলেন। পরবর্তীতে নবম জাতীয় সংসদের শেষ দিকে মহাজোট সরকারের চমক হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক নির্দেশনার বিষয়ে পত্রিকায় খবর বের হয়। এমনকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে চাকরিতে প্রবেশের মেয়াদ ২(দুই) বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছিল। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেন দেশের সুশীল সমাজও। বর্তমান সরকারের আমলে গত ৮ই জুন, ২০১৪ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তবব ছিল। এই প্রস্তাবের পক্ষে বিভিন্ন জেলা-প্রশাসকগণ সমর্থন দিয়েছিলেন। উক্ত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তারিখে ২০১১ অধ্যাদেশ মোতাবেক সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়েছে। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সসীমা ৩০ বছর রয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
সরকারি পর্যায়ে নীতি-নির্ধারকদের এসব আলোচনার পরও কোনো এক অজানা কারণে উচ্চ শিক্ষিত যুবসমাজের প্রাণের দাবি- চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি- আজও বাস্তবায়িত হয়নি। অবশ্য এদেশের স্বপ্নবাজ তরুণ প্রজন্ম এখনও আশাবাদী তাদের এই যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন হবে শীঘ্রই। কারণ ৩৫ বছরের পক্ষে অনেকগুলো যুক্তি আছে তাদের কাছে। যেমন- প্রাথমিক পর্যায়ে ভর্তি হওয়ার নূন্যতম বয়স ৬+(ছয়) বছর করা হয়েছে। ফলে আগে যেখানে একজন ছাত্র ১৪/১৫ বছর বয়সে এস.এস.সি. পাস করতে পারত এখন সেটা ১৬ বছরের আগে কোনক্রমেই সম্ভবপর নয়; স্নাতক ও সম্মান উভয় ক্ষেত্রে লেখা-পড়ার সময় ১ (এক) বছর করে বাড়িয়ে যথাক্রমে ৩ (তিন) ও ৪ (চার বছরের অনার্স) বছর করা হয়েছে; ডাক্তারদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করা হয়েছিল এই বলে যে, তাদের সাধারণদের চেয়ে ১ বছর বেশি অর্থাৎ ৪ বছর অধ্যয়ন করতে হয়। পরবর্তীতে সাধারণদের স্নাতক ও সম্মান উভয় পর্যায়ে সময় ১ বছর বৃদ্ধি করা হলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আনুপাতিক হারে বাড়ানো হয়নি; এস.এস.সি, এইচ.এস.সি, অনার্স/ডিগ্রি ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট বের হওয়ার মধ্যবর্তী সময় নষ্ট হয় সব মিলিয়ে প্রায় দুই বছর; প্রচলিত নিয়মানুসারে ২৩ (তেইশ) বছর বয়সে শিক্ষা জীবন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সমীকরণটি শুধুমাত্র কাগজ কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে রয়েছে তার প্রমাণ ২৭/২৮ বছরের আগে কোন ছাত্রর শিক্ষা জীবন শেষ না হওয়া; যথাসময়ে লেখা-পড়া শেষ করতে না পারার অন্যতম প্রধান একটি কারণ হচ্ছে ২ (দুই) থেকে ৩ (তিন) বছর সেশনজট; বিভিন্ন সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য প্রতিটি ছাত্রর জীবন থেকে যে সময় নষ্ট হচ্ছে তার ক্ষতিপূরণ করতে; বিপিএসসি-র যথাসময়ে পরীক্ষা নিতে না পারা (২৭ থেকে ২৮ তম বিসিএস পরীক্ষার গ্যাপ ছিল ৩ বছর); সরকারি চাকরি থেকে অবসরের মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে; নার্সদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৬ বছরে উন্নীত করা হয়েছে; সরকারি নিয়ম অনুসরণ করার ফলে বেসরকারি ব্যাংকসহ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও ৩০ বছরের উর্দ্ধের জনবল (অভিজ্ঞতা ছাড়া) নিয়োগ দেয় না। ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রেও কর্মের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে; নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া উচিত যোগ্যতার ভিত্তিতে, যোগ্যতার সঙ্গে বয়সের কোনো সম্পর্ক নেই; ৫৭ (সাতান্ন) বছর বয়স্ক ব্যক্তির কর্মক্ষমতা ও গড় আয়ু বাড়লে ৩০ (ত্রিশ) বছরের যুবকের কর্ক্ষমতা ও গড় আয়ু কমে না তা প্রমাণ করতে; সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সঙ্গে সরকারের কোনো প্রকার আর্থিক সংশ্লেষ নেই। কিন্তু সিদ্ধান্তটি হবে জনমুখী। ফলে উপকৃত হবে শিক্ষিত তরুণ-তরুণী ও তাদের পরিবার এবং সর্বোপরি দেশ। তবে বেতন স্কেল নিচের দিকে হলে বিশেষত চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩০ বছর থাকাটাই যৌক্তিক।
৩. ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়েছে। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রেও অধিকতর সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। যার সুফল ভোগ করছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছরে উন্নীত হয়েছে; কর্মক্ষমতাও বেড়েছে। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের ৮৭% শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধীনে অধ্যয়ন করছে। তথ্য মতে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর সকলেই ২ থেকে ৩ বছরের সেশনজটে আক্রান্ত। আর ১৩% শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করলেও তাদের মাত্র ৪% সেশনজট মুক্ত। সেশনজট মুক্ত এই ৪% শিক্ষার্থী চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা না বাড়ানোর যথাযথ কারণ হতে পারে না। কল্যাণ রাষ্ট্রে সর্বদাই সংখ্যাগরিষ্ঠের সুবিধা-অসুবিধা, ভাল-মন্দ চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই ৯৬% শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তাছাড়া, দলীয় সংঘর্ষ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ঘন ঘন বন্ধ ঘোষণা, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিলম্বে ফল প্রকাশ ইত্যাদি কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে; বিনা দোষে জীবন থেকে ঝরে যাচ্ছে অনেকগুলো বছর। শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। দেশে প্রতি বছর পাবলিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ শিক্ষার্থী শিক্ষা জীবন শেষ করে চাকরি প্রার্থী হচ্ছে। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজনীয় উপযুক্ত কর্মসংস্থান না থাকায় প্রতিনিয়ত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।(বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ সত্তে¡ও) এতে করে শিক্ষিত বেকারদের জীবনে নেমে আসছে হতাশা, একাংশ হচ্ছে বিপদগামী। অনেকেই হচ্ছে নেশাগ্রস্ত; সন্ত্রাসী, জঙ্গি সদস্য। বাড়ছে অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড; নষ্ট হচ্ছে সামাজিক পরিবেশ। শিক্ষিত যুবসমাজকে মূল ধারায় ফিরিয়ে এনে মেধা ও মনন বিকাশের অধিকতর সুযোগ তৈরির জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা একান্ত দরকার।
(লেখক : ড. মিল্টন বিশ্বাস, অধ্যাপক এবং পরিচালক, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, email- [email protected])
বাংলাপ্রেস /এফএস