আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমার আমবাড়ীতে প্রবিন আ’লীগের নেতা আবুল হোসেনের মানবেতর জীবন যাপন। জীবনের শেষ সময়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে অতিকষ্টে দিন কাটচ্ছে তার।
সরেজমিনে জানাযায়, ডোমার উপজেলার ৩নং গোমনাতী ইউনিয়নের উত্তর আমবাড়ী ২নং ওয়ার্ড মুন্সিপাড়া গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন (৫৯)। বাংলাদেশ আ’লীগে ১৯৯২ সালে তৎকালীন ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মরহুম সপির উদ্দিন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক মরহুম ডাঃ মজিবর রহমানের হাত ধরে একজন বলিষ্ঠ কর্মী হিসাবে যোগদান করেন। এর আগে ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও বর্তমানে ইউনিয়ন আ’লীগের প্রচার সম্পাদক হিসাবে দায়ীত্ব পালন
করছে।
বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধান মন্ত্রী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিস্ট সহযোগি সাবেক হুইব মরহুম আবদুর রউফ সাহেব ও তার সহধর্মীনি সাবেক সংসদ সদস্য মরহুমা ফরিদা রউফ আশা’র একজন বিশ্বস্ত একান্ত সহযোগি হিসাবে দীর্ঘদিন যাবত দায়ীত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করে আ’লীগের রাজনীতি করে সহায় সম্বল হারিয়ে তিনি আজ সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিনি ৫শতক জমির উপরে ছোট একটি টিনের ঘড়ে স্ত্রী অঞ্জনা বেগম (৫৫) ও কন্যা নাসরিন বেগম (১১) কে নিয়ে অতি কস্টে অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।
বর্তমানে আবুল হোসেন ডায়াবেটিস ও স্বাস কস্ট রোগে ভুগছেন। তার স্ত্রী অঞ্জনা বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ নজরুল ইসলামের চিকিৎসা করে কিছুটা সুস্থ। কন্যা নাসরিন বেগম ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ে।
অশ্রুভেজা কন্ঠে প্রবিন নেতা আবুল হোসেন জানান, আ’লীগ ক্ষমতাশীল দল হিসাবে দীর্ঘদিন যাবত দেশ পরিচালনা করে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে গেছে। দলের অনেক নেতা ও কর্মী বিভিন্ন ভাবে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। আমি একজন প্রবিন নেতা হয়েও সব ধরণের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমি ও আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ অবস্থায় ভীষন কস্টে দিন পাড় করছি। বয়স্কভাতা তো দুরের কথা, কোন নেতা খোঁজ খবরো নিতে আসেনি একদিন। দলের পক্ষ থেকে বা নেতাকর্মীদের
কাছ থেকে একটু সহযোগিতা পেলে, নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিয়ে শান্তিতে মরতে চাই আমি।
উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বলেন, আসলে তিনি একজন প্রবিন ও ত্যাগী নেতা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। এই দূরদিনে আবুল হোসেনের পাশে গিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত।