বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ইতিহাসের দুই মাহেন্দ্রক্ষণ উদযাপনে শুরু হলো ১০ দিনের অনুষ্ঠান। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই অনুষ্ঠানের প্রথমদিনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মুজিব চিরন্তন’। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে পারবে না কেউ। প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি আহবান জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজনীতিবিদদের কাজ করার। এছাড়া ভিডিও বার্তায় শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানান, বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা।ঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতি বিজড়িত তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর সংলগ্ন জাতীয় প্যারেড স্কয়ার। সেখানেই বর্ণিল আয়োজনে শুরু হলো জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন।
১০দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা হয় শত শিশুর কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে। পরে প্রচারিত হয় জাতির পিতার জন্মদিন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি, সরকার প্রধান ও শুভাকাঙ্খীদের পাঠানো ভিডিও বার্তা।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানান, চীন, জাপান, ও কানাডার সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। অনুষ্ঠানে স্বস্ত্রীক যোগ দেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ। বক্তব্যে বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্ববাসীর জন্য বঙ্গবন্ধু আদর্শ।
প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজনীতিবিদদের দেশের কল্যাণে নিয়োজিত হওয়ার আহ্বান জানান।
সবশেষে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মরণ করেন স্বাধীনতার ইতিহাসে জাতির পিতার ভূমিকার কথা। ঐক্যবদ্ধভাবে সব অপতৎপরতা প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার প্রত্যয়ও জানান তিনি।