নিজস্ব প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আর্মেনীয় ‘গণহত্যাকে’ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রস্থ জেনোসাইড একাত্তর ফাউণ্ডেশন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অটোমান তুর্কিদের হাতে আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর নির্বিচারে প্রাণ হারানোর ঘটনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যার’ স্বীকৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট এ স্বীকৃতি দিলেন।
১৯১৫ থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত অটোমান সাম্রাজ্যে প্রায় ১৫ লাখ আর্মেনিয়ান প্রাণ হারান। বাইডেনই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি বিষয়টিকে ‘গণহত্যার’ স্বীকৃতি বিষয়ে কথা বললেন। তুরস্ক প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ওই ঘটনার বিষয়ে দায় স্বীকার করলেও ‘গণহত্যা’ বলতে নারাজ।
১৯১৫ সালের ২৪ এপ্রিল অটোমান সরকারের শত্রু বলে সন্দেহে আর্মেনীয় সম্প্রদায়ের কয়েকশ নেতা ও বুদ্ধিজীবীকে কনস্টান্টিনোপলে (বর্তমান ইস্তাম্বুল) বন্দি করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের বেশিরভাগকেই হত্যা ও নির্বাসিত করা হয়। আর্মেনীয়রা ২৪ এপ্রিলকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। দীর্ঘদিন থেকে ওই হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য চাপ দিয়ে আসছে তারা।
জো বাইডেন সিনেটর থাকাকালে আর্মেনীয়-মার্কিনি এবং গ্রীক-মার্কিনি সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়েছিলেন। এছাড়া তিনি তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় আর্মেনীয় গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
তবে তুরস্ক বরাবরই বলে আসছে যে, তৎকালীন অটোমান সাম্রাজ্যে যে আর্মেনীয়দের জাতিগত হত্যা ও বহিষ্কার করা হয়েছিল, তা গণহত্যা নয়, বরং তা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপক সংঘাতের ফল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই ঐতিহাসিক সিন্ধান্তকে জেনোসাইড একাত্তর ফাউণ্ডেশন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. প্রদীপ রঞ্জন কর এবং সাধারন সম্পাদক মঞ্জুর চৌধূরী।
সেই সাথে ১৯৭১ সালে পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম ও বর্বরোচিত ভাবে ৩০ লাখ নিরীহ মানুষের হত্যা এবং ২-৪ লাখ নারীর উপর ধর্ষণ ও নির্যাতন ঘটনাকে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে স্বীকৃতিসহ বাংলাদেশকে একাত্তরের জেনোসাইড এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে আর্মেনীয়দের ন্যায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের আবেদন দাবি জানান তারা।
বিপি।এসএম