বাংলাপ্রেস ডেস্ক: করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। করোনার অন্য কোনো ভ্যারিয়েন্ট এত দ্রুত ও ব্যাপক হারে ছড়ায়নি। এর আগ্রাসী স্বভাবে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। তবে বিষয়টিকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। এ বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ পরিস্থিতি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে স্বাভাবিক হতে থাকবে। পরে ধীরে ধীরে এর সংক্রমণ তলানিতে নামবে। এছাড়া তার মতে, ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়া ভালো। তাহলে শক্তিশালী এন্টিবডি তৈরি হবে। যা টিকার চেয়ে বেশি কার্যকর। এমনটি মনে করছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সিঙ্গাপুর থেকে এসব কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, মার্চ-এপ্রিলে এটি আর থাকবে না। আর করোনা মহামারি শেষ হবে এ বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ। ওমিক্রনের তিনটি ধরন আছে। এর মধ্যে রয়েছে বিএডটওয়ান, বিএডটটু ও বিএডটথ্রি। বিএডটওয়ানের সংক্রমণ ৫০০ গুণ ছড়িয়ে পড়েছে। ১২০ গুণ ছড়িয়েছে বিএডটটু।
তিনি মনে করেন, মহামারির পর ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে। এজন্য এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে সবাইকে। সময়টি মোকাবিলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওমিক্রনের শুরুতে উপসর্গ কম দেখা যাচ্ছে। সংক্রমণ হার বেশি হচ্ছে। কিন্তু এত সংক্রমণের পরও মৃত্যুর হার তুলনামুলক কম।
বিজন কুমার জানান, সর্দির ফলে ওমিক্রন দ্রুত ছড়াচ্ছে। সংক্রমণ বেশি হওয়ার ক্ষেত্রে এটি বড় কারণ। সংক্রমণ দ্রুত হলেও ওমিক্রনের রোগ সৃষ্টির ক্ষমতা বাড়েনি। ওমিক্রন দ্রুত ছড়াচ্ছে, তবে তা ভয়াবহ নয়।
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি শেষ হওয়ার পর ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে। সেজন্য সবাইকে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। করোনার বর্তমান ভ্যারিয়েন্টকে যথাযথভাবে মোকাবিলা করাই মূল কাজ এবং গুরুত্বপূর্ণ।’ আগামী মাসের (ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংক্রমণ হবে। এরপর থেকে সংক্রমণ নিম্নমুখী হবে। সেপ্টেম্বর মাসের পর করোনা প্যান্ডেমিক (বৈশ্বিক) থেকে এন্ডেমিকে (দেশীয়) পরিণত হবে, শক্তি কমে যাবে। সাধারণ রোগের মতো এর চরিত্র দাঁড়াবে।
প্রসঙ্গত, ড. বিজন শীল ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান পদে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি করোনার কিট নিয়ে কাজ করছিলেন। তিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন।
বিপি।এসএম