শেখ ফরিদ, দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়)প্রতিনিধি: মুজিব বর্ষকে কেন্দ্র করে গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি নানা আয়োজন করে আসছে ২০২১ সাল থেকে। এবং ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ক্যাম্প সারা বাংলাদেশের ১৪ টি জেলায় করার ঘোষণা দেয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ১০ তম জেলা হিসাবে পঞ্চগড়ের, দেবিগঞ্জ উপজেলার হাজীনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার এই ক্যাম্পটি শুরু হয়। সেখানে ৫০ জন শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরণ, শিশুদের সাথে কথোপকথন ও তাদের মানসিক সাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে সঠিক কাউন্সেলিং করা হয়।সেই সাথে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যার সাথে শিশুরা কিভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে সে ব্যপারে পরামর্শ প্রদান করা হয়। এছাড়াও শিশুদের স্কুল ব্যাগ, প্যাড, কলম, টি শার্ট এবং পুষ্টি উপাদান যেমন গুড়া দুধ, সি-ভিট প্রদান করা হয়।
SDG এর ২,৩ এবং ৪ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মূলত ক্যাম্পটি করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি রাওমান স্মিতা, বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আহসানুল আলম এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শাহনাজ পারভীন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষিকা এবং রত্নাগরভ মা হিসেবে পুরুস্কারপ্রাপ্ত নুরে আলম মরতুজা বেগম। এবং অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির ডেপুটি ডিরেক্টর ও এই প্রোজেক্টের কো- অর্ডিনেটর মোঃ মাহির দাইয়ান। রাওমান স্মিতা বলেন – বাচ্চারা আগামি দিনের ভবিষ্যৎ, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের মাধ্যমে তাদেরকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করতে হবে, শিক্ষা ব্যবস্থায় আরো শক্তিশালী পলিসি তৈরী করতে হবে যাতে করে শিক্ষার্থীরা ঝড়ে না পরে। সর্বোপরি অভিভাবক এবং শিক্ষকদের একসাথে শিশুদের প্রতি নজর রাখতে হবে যাতে তারা তাদের বুদ্ধির বিকাশ পরিপূরণ করতে হবে।
আহসানুল আলম বলেন – আজকের শিশু আগামী দিনের বাংলাদেশের কর্ণধার, তাদেরকে সকল প্রকাশর সুযোগ সুবিধা প্রদান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মাহির দাইয়ন বলেন – শিশুর বিকাশের অন্যতম বাঁধা হচ্ছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার বেড়াজাল, এ জায়গা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে, মনে রাখতে হবে আজকের প্রজন্ম আগামী বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে৷ সুযোগ সুবিধা সবার জন্য সমান রাখতে হবে, শহরে পড়ালেখা করা একটা বাচ্চা যে সুবিধা পায়, গ্রামেও সেটি অব্যহত থাকতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত করাণে শিশুর স্বাস্থ্য আজকে হুমকি-ধমকি মুখে। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অতিব দ্রুত উদ্যেগ গ্রহণ করতে হবে।এই আয়োজনে সহযোগী পার্টনার হিসাবে আছে ডানো আরলা, জিলাটিসিমো, একমি, নাভানা।
আয়জন পরিচালনায় সাহায্য করেন অত্র স্কুলের সহ শিক্ষক রমানাথ রায়। শিশুরা যেন মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে পারে তা নিশ্চিতকরণ এবং তারা যেন দেশের সম্পদে পরিণত হয় সেই লক্ষ্য জিএলটিস সর্বোপরি কাজ করে যাচ্ছে।
বিপি/কেজে