Home অন্যান্যশিক্ষা জবিতে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

জবিতে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

by বাংলাপ্রেস ডেস্ক
A+A-
Reset

মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, জবি প্রতিনিধি: ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হলো দেশের ২২ টি পাবলিক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অধীনে ঢাকার ৮ টি কেন্দ্রে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে অন্যান্য সেন্টারের অনেকেই না বুঝে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টারে পরীক্ষা দিতে চলে আসায় তাদেরকেও পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয়।

শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ৯ টা থেকেই কেন্দ্রে আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ১১ টায় কেন্দ্রে প্রবেশের নিয়ম থাকলেও যানজটের কথা চিন্তা করে পরিক্ষার্থীদের আগেই কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়।

‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টারে ৬৪ হাজার ৪৫৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। জবিতে এত শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না বলে জবির অধীনে ঢাকায় মোট ৮ সেন্টারে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, পরীক্ষা দুপুর ১২ টায় হলেও সকাল ৯ টা থেকেই শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে মোবাইল ও ব্যাগ নিয়েই শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে পরিক্ষার্থীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। পরীক্ষার বিষয়ে রবিন হোসেন বলেন, গণিত ৫০ শতাংশেরও অধিক প্রশ্ন শর্ট সিলেবাসের বাইরে থেকে আসছে। আমাদের যদি আগেই বলা হতো যে প্রশ্ন ফুল সিলেবাস থেকে হবে তাহলে আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে পারতাম।

ঝিনাইদহ থেকে আসা সোনিয়া খাতুন বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় দুই একটা শর্ট সিলেবাসের বাইরে থেকে আসলেও গুচ্ছ পরীক্ষায় অনেক বেশি বাইরের প্রশ্ন আসছে। ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা একসাথে দিলাম আমাদের আগেই জানানো উচিত ছিলো ফুল সিলেবাসে পরীক্ষা হবে।

নটরডেম কলেজের আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গুচ্ছ পরীক্ষা হওয়ায় পছন্দের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পেরেছি। তবে পরীক্ষাকেন্দ্রে আমাদের রুমে কারোর এডমিট কার্ডে সিগনেচার করেনি। এখন বাইরে এসে অনেকের কাছেই শুনলাম এডমিট কার্ডে টিচাররা সিগনেচার করেছে। এখন চিন্তায় পড়তে হচ্ছে ভর্তিতে কোনো অসুবিধা হবে কি না!

পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নিতে পেরেছি। পরীক্ষায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য আমরা তৎপর ছিলাম।

পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমরা সার্বিক দিক দিয়ে গতবারের চেয়ে এবার উন্নতি করেছি৷ গতবারে কেন্দ্র বাছাইয়ে শিক্ষার্থীদের কিছু সমস্যা হয়েছিল এবারে সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৪ হাজার ৪৫৮ জন সিট চয়েজ করেছে কিন্তু আমাদের এখানে এত শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না বলে ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা নিয়েছি।

যানজটের বিষয়ে তিনি বলেন, যানজটের সমস্যা চিন্তা করে আমরা ১২ টায় পরীক্ষা দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের হাতে সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আসা উচিত ছিলো। এখানে ১২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সময়মতো এসেছে, দুই-একজন আসতে দেরী করেছে, তবুও আমরা তাদের পরীক্ষায় অংশ নিতে দিয়েছি। তবে তাদের অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়নি। কারণ তারা দেরীতে আসাতেও যদি অতিরিক্ত সময় দেয়া হয় তাহলে যারা সময়মতো আসছে তাদের প্রতি অবিচার করা হয়।

উল্লেখ্য, ঢাকায় গুচ্ছের কেন্দ্র হিসেবে ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, নটরডেম কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সাইন্স, ইডেন মহিলা কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বিপি/কেজে

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী