সুলতানা মাসুমা, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : অভাব অনটনের কারণে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে প্রায় ঝগড়া হতো ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধ মো. আব্দুর রব আব্দুল্লাহর। এই কলহের জেরে অবশেষে এ বৃদ্ধ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
বুধবার (১০ আগস্ট) সকাল ৭ টার দিকে বাড়ির পাশের একটি বাগানে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
বৃদ্ধ আব্দুর রবের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেরোয়া গ্রামের আলী আহাম্মদ সোয়ানি বাড়ি।
তিনি মৃত শফি উল্লাহর ছেলে।
আব্দুর রব আব্দুল্লাহ পেশায় দিনমজুর ছিলেন।
তবে বয়সের ভারে বর্তমানে আর কাজ করতে পারতেন না তিনি। তাই সংসার চালাতে কষ্ট হতো। স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে (৪৮) নিয়ে অভাব অনটনের মাঝে ছিলেন এ বৃদ্ধ। দুই ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩০) এবং রিয়াজ হোসেন (২৮) ছিলেন দিনমজুর। তারা দুইজন স্ত্রী সন্তান নিয়ে আলাদা বসবাস করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে আব্দুর ও তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। বুধবার সকাল ৭ টার দিকে বাড়ির পাশের একটি সুপারি বাগানে এক ব্যক্তি আব্দুর রবের মৃতদেহ দেখতে পায়।
পরে স্থানীয় লোকজন রায়পুর থানায় দিলে পুলিশ বুধবার বেলা ১১ টার দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
রায়পুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাসান জাহাঙ্গীর আব্দুর রবের আত্মাহত্যা করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে।
কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুর বেগম রেখা বাংলানিউজকে বলেন, মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমি ওই বাড়িতে যাই। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করি।
অভাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। আগে বিষয়টি আমি জানতাম না। জানলে তাদেরকে পরিষদ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করা যেত। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের উচিত ছিল তাদের খোঁজ-খবর রাখা। সরকারিভাবে পরিষদ থেকে খাদ্য সহায়তাসহ বিভিন্ন অনুদান দেওয়া হয়। ওয়ার্ডের কোন পরিবার কি পর্যায়ে আছে, সেটা ইউপি সদস্যরাই ভালো জানেন। তিনি দেখে দেখে অসহায় পরিবারকে সরকারি সহয়তার আওতায় আনতে পারতেন।
এ বিষয়ে জানতে ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আরিফুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিপি/কেজে