ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পদত্যাগ
বাংলাপ্রেস ডেস্ক: লিজ ট্রাসের প্রশাসনের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে নজিরবিহীন তোলপাড় চলছিল। তার নিজ দলের বেশ কিছু এমপি তার পদত্যাগ দাবি করছিলেন। এর মধ্যে দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন যে ম্যানডেটের ভিত্তিতে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেই ম্যানডেট তিনি পূরণ করতে অপারগ।কনজারভেটিভ পার্টিতে তার উত্তরসূরী নির্বাচনের জন্য আবার ভোটাভুটি হবে।
এর আগে এক সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রীর পদত্যাগে বিপাকে পড়েন ব্রিটিশ প্রধামন্ত্রী। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের অনেক এমপি-ই মনে করেন ক্ষমতায় খুব বেশি সময় থাকা হবে না লিজ ট্রাসের।
স্মরণকালের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন লিজ ট্রাস। কিন্তু দায়িত্ব নেয়ার দেড় মাসের মাথায় ক্ষমতা হারানোর ঝুঁকিতে পড়েন তিনি।
এক সপ্তাহে অর্থ ও স্বরাষ্ট্রের মতো দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর পদত্যাগে বিপাকে পড়েন ব্রিটিশ প্রধামন্ত্রী। শুক্রবার অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়াটেংকের পর বুধবার পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানের।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান। বুধবার প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সাথে মুখোমুখি বৈঠকে পদত্যাগ করেন তিনি।
এর আগে, শুক্রবার কর ইস্যুতে টানাপড়েনের জেরে অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেংকে বরখাস্ত করেন ট্রাস। স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাসের পদত্যাগ চান তার দলের বেশিরভাগ এমপি।
নির্বাচনী প্রচারে কর ছাড়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাস। এর ওপর ভর করেই কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও দেশের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। কিন্তু ক্ষমতায় এসে সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছেন ট্রাস। মূলত এর জেরেই প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর ঝুঁকিতে পড়েন তিনি। বুধবার পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালে তার পদত্যাগের দাবি জানান অনেক এমপি।
বিপি>আর এল