Home জীবনযাপন রায়পুরায় থানাহাজতে রিমান্ডের আসামির আত্মহত্যা

রায়পুরায় থানাহাজতে রিমান্ডের আসামির আত্মহত্যা

by বাংলাপ্রেস ডেস্ক

নরসিংদী প্রতিনিধি : রায়পুরা থানায় রিমান্ডে থাকা অবস্থায় এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ইনসেটে মৃত সুজন মিয়া।

স্ত্রী হত্যার দায়ে নরসিংদীর রায়পুরা থানায় রিমান্ডে থাকা অবস্থায় এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রায়পুরা থানাহাজতের বাথরুমের জানালার রডের সঙ্গে নিজের পরিহিত শার্ট দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

মারা যাওয়া আসামি সুজন মিয়ার (৩৫) বাবার নাম মজিবর। তার বাড়ি রায়পুরা থানার মামুদপুরে। রায়পুরা থানায় নিহতের মামলা নম্বর-০৮(১১)২২।

পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩০) হত্যার অভিযোগ ওঠে তার স্বামী সুজনের বিরুদ্ধে। গত ৬ নভেম্বর রোববার ভোরে উপজেলার মাহমুদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী সুজনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার আটরশি দরবার শরিফ থেকে নিহত সুজনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল মঙ্গলবার স্ত্রী হত্যা মামলায় আসামিকে নরসিংদী আদালত থেকে দুদিনের রিমান্ডে রায়পুরা থানাহাজতে আনা হয়। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় থানাহাজতে তাকে জানালার রডের সঙ্গে ঝুলতে দেখতে পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে স্ত্রী লাভলী হত্যার পর থেকে পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় হাসপাতালে তার কোনো স্বজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তবে হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন রায়পুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, ‘গতকালও তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সে একজন মানসিক রোগী ছিল এবং ইতোপূর্বে তাকে মানসিক হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রায়পুরা থানার এক কর্মকর্তা জানান, ঘটনার ১৫ মিনিট আগেও তার সঙ্গে আরেকজন আসামি ছিল। কীভাবে এমন হলো, তা বোঝা গেল না।

বিপি>আর এল

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী