গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার উন্নয়নে সাকোয়া ব্রীজ এলাকায় ইপিজেড নির্মাণসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে নাগরিক মঞ্চ। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব দাবি জানান। শহরের ডিবি রোডের গানাসাস মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চের সদস্য সচিব ও জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাবু। বক্তব্য দেন, জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মারুফ ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক, গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু, আদিবাসী-বাঙালী সংহতি পরিষদ সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক গোলাম রব্বানী, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রানী দেবী, জাতীয় নারী জোটের নেত্রী শিরিন আক্তার, বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থী আফজাল সিরাজ, ওমর আল-সানি মুগ্ধ, পার্থ সারথী বর্মণ, আজমাঈন মাহতাব ও সিরাজুস মুনিরা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা দেশের উন্নয়নের মুল ¯্রােতধারা থেকে বঞ্চিত। ঢাকা-রংপুর জাতীয় মহাসড়ক জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দুরে। তাই গাইবান্ধা পকেট শহরে পরিণত হয়েছে। গাইবান্ধার চেয়ে ছোট জেলা কুড়িগ্রাম। সেখানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নওগা ও ঠাকুরগাওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয় স্থাপনের স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অথচ ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসিদ্ধ ও সাতটি উপজেলা এবং চারটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা জেলায় কিছুই হয়নি। উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি দেশের ৬৪ তম স্থানে।
এই বাস্তবতায় গাইবান্ধার উন্নয়নে বক্তারা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে, পলাশবাড়ী উপজেলার সাকোয়া ব্রীজ এলাকায় ইপিজেড, গাইবান্ধার বালাসিঘাটে ব্রহ্মপুর টানেল নির্মাণ, গ্যাস সংযোগ, গাইবান্ধায় মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বোনারপাড়া-দিনাজপুর রেলরুটে রামসাগর ট্রেন পুনরায় চালু, বগুড়া থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত রেল যোগাযোগ চালু, গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন, গাইবান্ধা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসক-সেবিকার শুণ্যপদ পুরন এবং সরকারি মহিলা কলেজ জেলা শহরের গ্রহনযোগ্য স্থানে স্থাপন। অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়িত না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বিপি/কেজে