আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে গোমনাতী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল দশা। ময়লা আবর্জনা ও পাবলিক টয়লেট স্থাপনের কারণে পরিবেশ হচ্ছে দূষিত। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। এলাকাবাসী বলছে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তো নয় এটি যেন এক ভুতুরে বাড়ি। এমন দৃশ্যটি চোখে পড়ে ডোমার উপজেলার গোমনাতী বাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
জানা যায়, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন যাবত অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকায় ভুতুরে বাড়িতে পরিনত হয়েছে। বিল্ডিংএর পাশে স্টাফ কোয়টার থাকলেও সেখানে কেউ বসবাস না করায় সেটিও আজ ধংসের পথে। এলাকাবাসী মহুবার ও মোজাম্মেল অভিযোগ করে বলেন, নামে মাত্র কম্পাউন্ডার পদে ফেরদৌস হোসেনকে নিয়োগ দিলেও মাসের পর মাস অফিসে না এসে সরকারী সম্পদকে ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কম্পাউন্ডার ফেরদৌস নিয়মিত অফিসে না আসায় এবং রোগীদের ঔষধপত্র দিতে না পারায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নের হাজারো অসহায় মানুষ। অপরদিকে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে বাজারের লোকজন ময়লা আবর্জনা ফেলে কাঁদা পানি জমে ধংস স্তুপে পরিনত হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মূল ফটকের সামনে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে দূর্গন্ধ সৃষ্টি করে পরিবেশ করছে দূষিত। পার্শ্বে রয়েছে শহীদ জিয়া বালিকা বিদ্যালয় ও গোমনাতী উচ্চ বিদ্যালয়। সামান্য কাঁদাপানি ও রোদে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসতে না পারায় ব্যহৃত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। শহীদ জিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন,ময়লা আবর্জনা ও পাবলিক টয়লেটের দূর্গন্ধে ছাত্রীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে না।
এমনিতে করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের চরম ক্ষতি সাধন হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন ফল হচ্ছে না। অস্টম শ্রেনীর ছাত্রী রিয়া মনি জানান, সামান্য রোদ হলে পচা দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে আমরা ছাত্রীরা কমন রুমে থাকতে পাছি না, পরিবেশ দূষনের কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। এ বিষয়ে উপজেলা পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান বারী জানান, ওইস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন কর্মী আছে সপ্তাহে ৩দিন অফিস করার কথা।
অভিযোগ প্রমানিত হলে কর্মীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি দ্রুতত স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সংস্কার করা হবে। অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে কম্পাউন্ডার ফেরদৌস হোসেন বলেন, এলাকার লোকজন ঔষধ চায় আমি দিতে না পারায় তারা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। শিক্ষার মান উন্নয়নে পাবলিক টয়লেট বন্ধসহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পূনরায় চালু করে সেবা প্রদানের জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।
বিপি/কেজে