Home রাজনীতি পর্যাপ্ত খাদ্যপণ্য মজুদ থাকলে দাম বাড়ছে কেন, প্রশ্ন ড. মোশাররফের

পর্যাপ্ত খাদ্যপণ্য মজুদ থাকলে দাম বাড়ছে কেন, প্রশ্ন ড. মোশাররফের

by বাংলাপ্রেস ডেস্ক
A+A-
Reset

বাংলাপ্রেস ডেস্ক: দেশে খাদ্যপণ্যের ‘পর্যাপ্ত মজুদ’ থাকলে দাম বাড়ছে কেনো প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে একটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে এ প্রশ্ন তোলেন তিনি।

জিয়া পরিষদের উদ্যোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে রচিত ‘মৃত্যুকূপে ধাবমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন হয়। সংকলিত গ্রন্থের ওপর বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক মমতাজ হোসেন ও গ্রন্থের সম্পাদনা পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট দেওয়ান মাহফুজুর রহমান ফরহাদ।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটা মিটিং করেছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ব্যাপারে। সেখানে বলেছে, দেশে নাকি খাদ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুদ পর্যাপ্ত আছে। জনগনকে বলেছে যে, আতঙ্কিত হয়ে বেশি কেনাকাটা না করতে। কিন্তু বাজারের অবস্থা কি আপনারা জানেন? আমরা জানতে চাই, এত খাদ্যপণ্য মজুদ থাকলে দাম বাড়ছে কেন? সরকার সুস্পষ্টভাবে তার ব্যাখ্যা জনগণকে দিক। খাদ্যপণ্যের মজুদ দিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে।

সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বাজারের বর্তমান চিত্র তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। রমজানের মাসে কীভাবে চলবে মানুষ দিশাহারা। চিনির দাম কোথায় থেকে এসেছে এখন ১২০ টাকার উপনীত হয়েছে, গরুর মাংস ৮০০ টাকার ওপরে, লবণের দাম ৪২ টাকার ওপরে, ব্রয়লার মুরগির দাম যেটা ১২০-১৪০ টাকা ছিল এখন এটার কত দাম? বাজারে গিয়ে দেখেন মানুষ কী পরিমাণ সরকারকে গালাগালি করে।’

 

তিনি বলেন, ‘অতীতে কোনো সময় মুরগি, ইলিশ মাছ, রুই মাছ কেটে ১০০-২০০ গ্রাম অথবা ২৫০ গ্রাম ভাগ করে বিক্রি করার কোনো রেওয়াজ এদেশে ছিল না। আজকে কাঁচাবাজারে মুরগি, ইলিশ মাছ, রুই মাছ ভাগ করে বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। তারপরেও সরকার বলছে, দেশে নাকি খাদ্যপণ্য পর্যাপ্ত মজুদ আছে। কি পরিমাণ চাপাবাজী করছে ওরা জনগণের সঙ্গে!’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘কেন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে? কেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার? কারণ একটাই- সরকারের যারা মদদপুষ্ট ব্যবসায়ী আছে, তাদের সিন্ডিকেটের কারণেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। জনগণের পকেট থেকে তারা অর্থ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে দাম বাড়িয়ে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মেগা প্রজেক্ট করার কারণে, মেগা দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি হচ্ছে। এই লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনীতি আজকে ধবংসের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে।’

‘মৃত্যুকূপে ধাবমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থ প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিরোধী কণ্ঠস্বর রোধ করতে গত ১৪ বছর ধরে এই সরকার হিটলারি কায়দায় যতরকম শোষণ নির্যাতন করা যায়, তা করেছে। বিএনপির মতো জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের সাবেক এমপি ও সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীসহ ছয় শতাধিক মানুষকে গুম করা হয়েছে। এক হাজারের বেশি মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে। প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা। এই সরকার হচ্ছে নির্যাতনের রোল মডেল। ‘‘মৃত্যুকূপে ধাবমান বাংলাদেশ’’ শীর্ষক এই গ্রন্থ দলিল হিসেবে থাকবে।’

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জিয়ার পরিষদের অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক আবদুল লতিফ, অধ্যাপক ইয়ারুল কবির, অধ্যাপক শামসুল আলম, আবদুল্লাহহিল মাসুদ, রুহুল আলম, আখতার হোসেন, মোহাম্মদ আলী, সাইদুর রহমান মিহির, অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার প্রমুখ।

বিপি/কেজে

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী